নারদকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি কি আসন্ন, সিবিআইয়ের নোটিশে বাড়ছে জল্পনা
টানা দু’দিন দীর্ঘ জেরার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তার বয়ানে মিলেছে নানা অসঙ্গতি। সেই কারণেই কি গ্রেফতারের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তৃণমূল বিধায়ক?
নারদকাণ্ডে ফের তলব করা হল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে। মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে নোটিশ ধরায় সিবিআই। আগামী ২২ জুনের মধ্যে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
নারদ মামলায় গত ১০ জুন তাঁকে প্রথম তলব করে সিবিআই। এরপর তিনি সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে নিজাম প্যালাসে আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে সাতদিনের সময় চেয়েছিলেন। সেই চিঠিতে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি রমজান মাসে রোজার কারণ দর্শিয়ে ছিলেন ইকবাল আহমেদ।
তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, এরপর যেদিন তাঁকে ডাকা হবে, সেদিনই তিনি হাজিরা দেবেন। এরপর দু'বার তাঁকে তলব করা হয়। তিনি সিবিআই দফতরে গিয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখিও হন। পর পর দু'দিন তাঁকে দীর্ঘ জেরা করে সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। সেই বয়ানে অনেক অসঙ্গতি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
ইকবাল আহমেদকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই প্রশ্ন তিনবার করা হয়েছিল। তিনবার তিনরকম উত্তর দিয়েছেন তিনি। ফলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে, যেকোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। আর সেই আশঙ্কা থেকেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।এবার হাসপাতালে গিয়েই হাজিরার নোটিশ দেওয়া হল ইকবাল আহমেদকে।
নারদ-কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে ১১ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। এফআইআর দায়েরের পরও তদন্তে কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় সিবিআইকে মৃদু ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই তদন্তের গতি বাড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ককে তলব করা হয়।