কাটা মাথা ও হাত-পায়ের হদিশ মেলেনি দুদিনেও, ব্যাঙ্ককর্মী খুনে সূত্র শুধু একটি কাপড়
হাওড়ার ডোমজুড়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী পার্থ চক্রবর্তীর হাত-পা-মুণ্ডবিহীন বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়েছে আগেই। কিন্তু দুদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও মেলেনি তাঁর হাত-পা ও মাথার হদিশ।
হাওড়ার ডোমজুড়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী পার্থ চক্রবর্তীর হাত-পা-মুণ্ডবিহীন বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়েছে আগেই। কিন্তু দুদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও মেলেনি তাঁর হাত-পা ও মাথার হদিশ। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তদন্তকারীদের হাতে একমাত্র সূত্র একটি কাপড়ের খণ্ড। সেই কাপড়ের খণ্ড নিয়েই এখন তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকার পুকুরগুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে দেহাংশের খোঁজে। নামানো হয় পুলিশ কুকুরও। কিন্তু শুক্রবার সন্ধে গড়িয়ে গেলেও মেলেনি হদিশ। তবে তদন্ত নেমে হাওড়া পুলিশের হাতে উঠে এসেছে একটি মূল্যবান সূত্র। আর তা হল একটি কাপড়ের টুকরো। পার্থর শরীর থেকে মেলে ওই কাপড়ের টুকরো।
পুলিশের তদন্তকারী অফিসারের মনে করছেন, এই ধরনের কাপড়ের টুকরো একমাত্র পাওয়া যায় দর্জিদের কাছে। হাওড়ার ডোমজুড়ের মাকড়দহে অনেক দর্জির দোকান রয়েছে। কোনও দর্জির দোকান থেকে ওই কাপড় সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই দোকানের খোঁজ চালানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য, ওই দোকানদারের কাছ থেকে যদি কোনও সূত্র মেলে।
বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পার্থর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দেহের তিলও কেটে দেওয়া হয়। নদিয়ার চাকদহের বাসিন্দা যিনি ডোমজুড়ের সলপে বন্ধন ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন, তাঁকে কে বা কারা নৃশংসভাবে খুন করল। কেনইবা খুন করা হল তাঁকে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পার্থ চক্রবর্তীর ফোনের কলরেকর্ডস ঘেঁটে বিশেষ একটি সূত্রও মিলেছে।
পার্থর সঙ্গে নিয়মিত এক তরুণীর যোগাযোগ ছিল। বুধবারও ঘটনার আগে ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ পার্থকে ওই তরুণী ফোন করেছিলেন। তার ১০ মিনিট পরেই পার্থর ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। পার্থর ফোন সুইচড অফ কাটিয়া অঞ্চলে। ওই তরুণীকে ইতিমধ্যে জেরাও করেছে পুলিশ। কিন্তু তাঁকে জেরা করে কোনও সূত্র মেলেনি।
উল্লেখ্য, ওইদিন সকালেই এলাকায় পাঁচটি জায়গায় ঋণের টাকা সংগ্রহ করতে বেরিয়েছিলেন পার্থ। চার জায়গায় গেলেও একটি জায়গায় তিনি যাননি। তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, ওই না যাওয়ার পিছনে কী কারণে। এই হত্যাকাণ্ডের সূত্র বের হতে পারে পার্থর ওই অনুপস্থিতি থেকেও।