মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, দল ভাঙিয়ে একুশের আগে যোগ দিলেন তৃণমূলে
মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, দল ভাঙিয়ে একুশের আগে যোগ দিলেন তৃণমূলে
বিজেপি ভাঙিয়ে ফের শক্তিবৃদ্ধি করল তৃণমূল। একদা বর্ধমান সিপিএমের ডাকসাইটে নেতা আইনুল হক বুধবার দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা তুলে নেন তৃণমূল কংগ্রেসের। সিপিএমে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি ভয় করে তিনি অবশেষে এলেন রাজ্যের শাসকদলে। একইসঙ্গে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনেও শক্তি বাড়ল তৃণমূলের।
মুকুল-সঙ্গ ত্যাগ করে ফিরে এলেন মমতার দলে
২০১৮ সালের গোড়ার দিকে দলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছিলে তৃণমূল। তারপর ২০১৯-এর মার্চে তিনি মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষদের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছিলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও। কিন্তু অগ্নিমিত্রা পাল বিজেপিতে প্রতিষ্ঠা পেলেও আইনুল হক মুকুল-সঙ্গ ত্যাগ করে ফিরে এলেন মমতার দলে।
সিপিএম থেকে বিজেপি ভায়া হয়ে তৃণমূলে আইনুল
সিপিএম থেকে বিজেপি ভায়া হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। বুধবার তিনি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন আরও তিনজন। চিকিসক ও শিক্ষক সংগঠনের নেতারাও বিজেপি ভেঙে নাম লেখালেন তৃণমূল শিবিরে। তৃণমূলে যোগ দিলেন রেজাউল করিম, কৌশিক চাকী, সুন্দর পাসোয়ানের মতো ডাক সাইটে নেতারা।
বাম আমলে আইনুলের প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল বিরাট
বর্ধমানে বাম আমলে আইনুলের প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল বিরাট। বর্ধমানে প্রচার ছিল, আইনুল অনুমতি দিবলে তবেই গাছের পাতা নড়ত। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে একটা অগুলিহেলনেই মুহূর্তে বাস্তবায়িত হয়ে যেত তাঁর নির্দেশ। এহেন নেতাকে পেয়ে তৃণমূল কতটা কাজে লাগাতে পারে, সেটাই দেখার।
ভাঙেন সারাজীবন বামপন্থী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা
সিপিএম ছাড়ার পর তিনি বিজেপিতে সেট হতে পারেননি। তিনি বাংলার বাইরে থেকে জানতে পেরেছিলেন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এক শ্রেণির নেতা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তা করেছে বলে অভিযোগ ছিল আইনুলের। তবে তিনি সারাজীবন বামপন্থী হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা রাখতে পারেননি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।
বিধানসভায় টিকিট মিলবে মলয়-স্বপনের জেলায়
সিপিএম ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে এসেও তিনি সুবিধা করতে পারেননি। এবার তিনি শাসকদলে। যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে তিনি বিধানসভার টিকিট পেতে পারেন বর্ধমানের কোনও আসনে। তবে মলয় ঘটন-স্বপন দেবনাথদের জেলায় তিনি কতটা ফায়দা লুটতে পারবেন রাজনীতির আঙিনায় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।
কেন বিজেপি ছাড়ালেন আইনুল, জল্পনা
কিন্তু এত ঘটা করে যোগদানের বিজেপির সঙ্গে তাঁর বনিবনা হল না কেন? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপিতে তিনি লোকসভার টিকিট পাননি। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে কথা দিয়েও কথা রাখেনি বিজেপি। তখন থেকেই দূরত্ব বাড়তে থাকে। অবশেষে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। এখন দেখার শাসকদলে কোনও শিকে ছেঁড়ে কি না!
শুভেন্দুর নন্দীগ্রামকেই উত্থানের মঞ্চ বানাতে চাইছে সিপিএম, লালে লাল করে উদয় 'নবীন’দের