পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে হুগলীতে স্বাভাবিক হওয়ার পথে ইন্টারনেট পরিষেবা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে ১২ মে থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হুগলীর বিস্তৃর্ণ এলাকায়। বর্তমানে রবিবার থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে কলকাতা হাইকোর্টে শনিবার জানাল রাজ্য সরকার। এদিকে ১২ই মে-র আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে হুহু করে ছড়াতে থাকে ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া এলাকার সংঘর্ষের ছবি, ভিডিও। গুজব রুখতে, উত্তেজনা প্রশমিত করতে শেষ পর্যন্ত হুগলির ১১টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।
ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশিকার আসে জেলাশাসকের তরফ থেকে
ঝামেলা শুরুর পরেই ১২ই মে থেকে হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও একটি নির্দেশিকা জারি করে শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমা এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেন। সেই মতো চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া সহ আশপাশের বিস্তৃর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
নির্দেশিকা জারি করা হয় পুলিশের তরফেও
জেলা শাসককের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার রাতে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার এবং হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) যৌথ নির্দেশিকা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন বলে খবর। ভোডাফোন, জিও, বিএসএনএল, আইডিয়া, এয়ারটেল, টাটা টেলি সার্ভিস-সহ সমস্ত টেলিকম সংস্থাকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জনস্বার্থ মামলা রুজু কলকাতা হাইকোর্টে
ভুয়ো খবর ও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানো রোধেই সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের মাঝেই একটা বড় অংশের মানুষ ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাই দীর্ঘদিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখলে তীব্র সমস্যায় পড়বেন তারা। তাই এই সমস্যার সমাধান চেয়ে আইনজীবী সৌমাভ মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লেখেন বলে খবর। এরপরেই রুজু হয় জনস্বার্থ মামলা।
রবিবার থেকেই স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা
পাশাপাশি একই কারণে আরও দুটি মামলাও করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরেই শনিবার এই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত রবিবার থেকে হুগলীতে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়ার কথা বলেন। বর্তমানে ভদ্রেশ্বের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানা তিনি।