বদলে গেল ধরনা মঞ্চের মুখগুলি, তৃণমূল নেতাদের সরিয়ে দখল নিলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
রবিবার সন্ধ্যারাত থেকে মমতার ধরনায় হাজির ছিলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় আইপিএসরা। পরে তাতে ভিড় করেন শিল্পীরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআইকে অপপ্রয়োগের অভিযোগে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের বিশেষ দল তদন্তের স্বার্থে রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের সরকারি আবাসে হানা দিতেই মমতা পাল্টা মেট্রো চ্যানেলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসে পড়েন। সেই ধরনা আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও চলছে।
রবিবার সন্ধ্যারাত থেকে মমতার ধরনায় হাজির ছিলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় আইপিএসরা। তবে সোমবার বেলা গড়াতেই ধীরে ধীরে মমতার মঞ্চে আসতে দেখা যায় একেরপর এক অভিনয় জগতের মানুষ থেকে শুরু করে শিল্পী, গায়ক, কবিদের। আর এদিনও সুপ্রিম রায় আসার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ঘিরে থাকলেন শিল্পী-বিদ্বজ্জনেরা।
[আরও পড়ুন: নিজেকে মহাজোটের 'হোতা' প্রমাণ করতেই ধরনায় বসেছেন মমতা, কটাক্ষ জেটলির ]
এদিন সকাল থেকেই মঞ্চে দেখা গিয়েছে ইন্দ্রাণী হালদারকে। তিনি রায় বেরোনোর পরও ছিলেন। বেলা বাড়তেই শাঁওলি মিত্র থেকে শুরু করে অনেকেই মঞ্চে আসেন। মমতার পাশে দাঁড়ান। তার আগে সোমবার কবি জয় গোস্বামী থেকে শুরু করে গায়ক শিবাজী চট্টোপাধ্যায়, সৈকত মিত্রকে মঞ্চে দেখা গিয়েছে। সবমিলিয়ে বাংলার শিল্পীজগত যে মমতার পাশে রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁরা।
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলার শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী মহল তৃণমূল সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকার বিরোধী কোনও ঘটনা ঘটলে তারও প্রতিবাদে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন বা মিছিল বের করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ ইস্যুতে যে তাঁরা মমতার পাশে রয়েছেন, সেই বার্তাই দিলেন জয় গোস্বামী থেকে শুরু করে ইন্দ্রাণী হালদাররা।