অমানবিক হাসপাতাল! করোনায় মৃত বাবার দেহ দেখতে ছেলের থেকে ৫১ হাজার টাকা দাবি
অমানবিক হাসপাতাল! করোনায় মৃত বাবার দেহ দেখতে ছেলের থেকে ৫১ হাজার টাকা দাবি
করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফের প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। করোনায় মৃত বাবার দেহ দেখতে ছেলের কাছ থেকে ৫১ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠল রাজ্যেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এদিকে করোনায় মৃতদের সৎকারের বিরুদ্ধে এর আগেই একাধিক হাসপাতালে চূড়ান্ত অব্যবস্থার নজির দেখা গেছে। যার জেরে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের উদাসীনতা নিয়েও।
হাসপাতালের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন
সূত্রের খবর, শনিবার মধ্যরাতে কলকাতা লাগোয়া ওই বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান হরি গুপ্ত নামে করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধ। যদিও তার মৃত্যুর পরেও তার পরিবারের লোকজনের সাথে হাসপাতালের সঙ্গে প্রায় ২৪ ঘণ্টার কাছাকাছি সময় কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মৃত বৃদ্ধের ছেলে সাগর গুপ্ত বলেন, " রবিবার বিকালে আমরা হাসপাতাল সূত্রে খবর পাই শনিবার রাত ১টা নাগাদ বাবা মারা গেছেন। কিন্তু এতটা সময় কেটে গেলেও এই বিষয়ে কেন আমাদের জানানো হয়নি সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেন তাদের কাছে নাকি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও তথ্য ছিল না।"
শিবপুর শ্মশানেও পরিবারের লোকজনের সাথে বাদানুবাদ
এরপরেই তারা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারেন হরি গুপ্তের দেহ ইতিমধ্যেই শিবপুর শ্মশানে পাঠানো হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র প্রিয়জনকে শেষবার দেখার বাসনায় হাসপাতল থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে শিবপুর শ্মশানে যান সাগর গুপ্তেরা। কিন্তু সেখানেও তারা বাধার মুখে পড়েন। মৃতদেহ দেখতে তাদের কাছ থেকে ৫১ হাজার টাকা দাবি করা হয়। যদিও মৃত বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন এর প্রতিবাদ করলে তা কমিয়ে ৩১ হাজার করা হয়।
কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল
এই সময় সৎকারের দায়িত্বে থাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজনের সঙ্গে তাদের বাদানুবাদও হয়। মোবাইলে গোটা ঘটনার রেকর্ডিং করার চেষ্টা করলে হাসপাতালের লোকজন তা ছিনিয়েও নেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পরিস্থিতি চাপে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন মৃত হরি গুপ্তের বাড়ির লোকজন।
পুলিশি হস্তক্ষেপেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি
সূত্রের খবর, পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশি অনুরোধ ফিরেয়ে দেয় হাসপাতালের লোকজন। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই টাকা দিতে পারেনি মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির দেহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী দাহ করা হয়, যদিও শেষ দেখার সুযোগ পাননি পরিবারের লোকজন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত ব্যক্তির ছেলে সাগর গুপ্ত।
কৃষকদের কোটি কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত করেছে মমতার সরকার! মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ রাজ্যপালের