করোনা আবহেই বাণিজ্যে চালু হল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে
করোনা আবহেই বাণিজ্যে চালু হল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে
দীর্ঘ ৮৭ দিন পর চালু হচ্ছে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তবানিজ্যে। স্বস্তির হাওয়া সীমান্তের ব্যবসায়ী থেকে শ্রমিক ও পরিবারের। রাজ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আটটা স্থলবন্দর রয়েছে। ইতিমধ্যে হিলি, পেট্রোপোল, ফুলবাড়ী সহ সাতটি বন্দর খুলে গেলও। বসিহাট মহাকুমার বসিরহাট থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর বন্ধ ছিল। দেশের দ্বিতীয়তম স্থলবন্দর বন্দর চালুর দাবিতে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের ব্যবসায়ীরা ইছামতি ব্রিজে সম্মুখে সামনে ইটিন্ডা রোডে পথ সভা করেন ১৭ জুন।
এই সীমান্তের ওপর নির্ভর করে রয়েছে ২০০০ ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রায় লক্ষাধিক কর্মী। লকডাউনের জেরে দীর্ঘ ৮৭ দিন বন্ধ ছিল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আমদানি ও রপ্তানি। এত দিন পর সীমান্ত বানিজ্য চালু হওয়ায় খুশি সকলে।আমদানি-রপ্তানি সংস্থার সদস্য মিহির ঘোষ বলেন, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ পরিবার আমরা এই সীমান্ত আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আছি। সীমান্ত বাণিজ্যে বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিল সীমান্ত বাণিজ্যের ব্যবসায়ী থেকে কর্মীরা।
ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বসিরহাটের মহকুমার শাসক বিবেক ভস্মে, এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র বিএসএফের 153 নম্বর ব্যাটালিয়নের আধিকারিক ও শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জরুরি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন শনিবার ঘোজাডাঙ্গা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আমদানি ও রপ্তানি সীমান্তবানিজ্য চালু হবে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে ১৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সীমান্তবানিজ্য চালু হওয়ায় খুশি তারাও। তবে এদিন ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের প্রশাসনিক বৈঠকে উঠে আসে করোনা মোকাবেলায় সবরকম বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে। ট্রাকচালক ও খালাসিদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা শারীরিক তাপমাত্রা মাপতে হবে ।এবং দ্রুত কেউ অসুস্থ বোধ করলে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে।পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আমদানি যেসব পণ্যবাহী ট্রাক এদেশে ঢুকবে তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটেশন করতে হবে চালক খালাসিদের শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে তার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা নির্ধারিত সময়সূচি মেনে এই ব্যবস্থা করবেন।