করোনা রুখতে ভারতে তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পুরোদমে, রাশিয়ার স্পুটনিকও তালিকায়
বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানীয় কোভিড ভ্যাকসিনের উন্নত পর্যায়ের ট্রায়াল নিয়ে ভারত পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।
বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানীয় কোভিড ভ্যাকসিনের উন্নত পর্যায়ের ট্রায়াল নিয়ে ভারত পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। মঙ্গলবার দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অক্সফোর্ড এবং ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে শুরু হবে। একইসঙ্গে ভারত রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের জন্যও ট্রায়াল শুরু করবে।
বর্তমানে তিনটি সংস্থা ভারতে ২-৩টি কোভিড ভ্যাকসিনের মানবদেহে ট্রায়াল চালাচ্ছে।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট দ্বারা ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় তৈরি এই ভ্যাকসিন বর্তমানে ভ্যাকসিনের দৌড়ে অগ্রগণ্য। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্মিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনটির মানব ট্রায়ালের তৃতীয় পর্ব শুরু হবে আগামী সপ্তাহে।
- বাণিজ্যিকভাবে কোভিশিল্ড নামে পরিচিত এই ভ্যাকসিনটি ইতিমধ্যে ভারতে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানজুড়ে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালগুলি প্রাথমিকভাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ে তা শুরু করা যায়নি। একটু দেরি হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে।
ভারত কোভাক্সিন
- হায়দরাবাদ-ভিত্তিক ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন বা কো-ভাক্সিন মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্তির কাজ শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, 'কোভাক্সিন' মানবিক ক্লিনিকাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
- মেডিকেল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও মেডিকেল সায়েন্সের এসইউএম হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. ই ভেঙ্কট রাও বলেন, "প্রথম পর্যায়ে ট্রায়াল এখনও চলছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শিগগিরই আমরা শুরু করার পরিকল্পনা করছি।
রাশিয়ার স্পুটনিক ভি
ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়া সরকারের অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে স্পুটনিক ভি। আগামী মাসে ভারতে এর মানব ট্রায়াল শুরু হবে। এই ট্রায়ালের বিষয়টি রাশিয়ার বিনিয়োগ তহবিল এবং ভারত সরকার উভয়ের দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার ভ্যাকসিন পরীক্ষার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের 'ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ গ্রুপের প্রধান ভি কে পল বলেন, "রাশিয়া সরকার চ্যানেলগুলির মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে যোগাযোগ করেছিল এবং কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সহায়তা চেয়েছিল।
তিনি আরও জানান, "কিছু সংস্থা রাশিয়ার সরকারের সাথে কাজ করার জন্য এগিয়ে এসেছিল, অন্যরা রাশিয়ার সাথে আলোচনায় রয়েছে। এটি উভয় দেশের পক্ষে ভালো হবে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালগুলির তথ্যগুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন। রাশিয়ান ভ্যাকসিনগুলি স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে পরিচালিত হওয়ার আগে সমস্ত কঠোর পরীক্ষামূলক প্রোটোকলের মধ্য দিয়ে যাবে।
ভারত কি গোপন ভ্যাকসিনের জন্য ইমার্জেন্সি অথরিটি প্রদান করবে?
যেহেতু
যুক্তরাজ্য
এবং
চিনের
মতো
অনেক
দেশ
ইতোমধ্যে
কোভিড
ভ্যাকসিনগুলির
জন্য
জরুরি
ব্যবহারের
অনুমোদন
দিয়েছে,
তাই
ভারত
কি
সেই
পথ
অনুসরণ
করবে?
এই
বিষয়ে
কথা
বলতে
গিয়ে
ড.
ভি
কে
পল
বলেন,
"যে
কোনও
দেশেই
টিকা
দেওয়ার
জরুরি
ব্যবহারের
অনুমোদন
পাওয়া
যায়,
এ
সম্পর্কে
মন্তব্য
করা
এই
মুহূর্তে
সমীচিন
নয়।"
যদি
কোনও
ভ্যাকসিনের
জরুরি
ব্যবহারের
অনুমোদন
দেওয়া
হয়,
তবে
একটি
দেশ
তৃতীয়
ট্রায়াল
এড়িয়ে
যেতে
পারে
বা
জনসাধারণের
সুবিধার্থে
পরীক্ষার
প্রক্রিয়াটি
দ্রুত
করতে
পারে।
বৈজ্ঞানিকরা
মূলত
প্রয়োজনীয়
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ছাড়াই
জনগোষ্ঠীতে
ভ্যাকসিনের
এই
ধরনের
ব্যবহারের
বিরুদ্ধে
রয়েছে।