ভোটের হার মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন কুপার্স ক্যাম্প পুরভোটের এই নির্দল প্রার্থী
ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক নির্দল প্রার্থী। আত্মঘাতীর নাম সুপ্রিয়া দে (৪০)।
কুপার্স ক্যাম্পে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক নির্দল প্রার্থী। আত্মঘাতীর নাম সুপ্রিয়া দে (৪০)। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী বলে পরিচিত সুপ্রিয়া দলের অন্দরে কোন্দলের জেরে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়ান। ভোট কাটাকুটিতে ৩০ ভোটে হেরে তিনি বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণার পরে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে খবর।
কুপার্স ক্যাম্পে ১২টি পুরসভা আসনের মধ্যে ১২টিতে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বিরোধী বাম-কংগ্রেস-বিজেপি কেউই কোনও আসন পায়নি। এমনকী নির্দলে দাঁড়ানো সুপ্রিয়া দেবীও জিততে পারেননি।
এই ফলাফল জানার পরই বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির শোওয়ার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন তিনি। তারপরে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ও পরে কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তিনি কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এর আগে এই ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৭ ও ২০১২ সালের পুর নির্বাচনে তিনি জেতেন। শঙ্কর সিং ঘনিষ্ঠ সুপ্রিয়াদেবী দল বদলে তৃণমূলে চলে আসেন।
তবে এই দলে এসে তিনি যে টিকিট পাবেন না তা তিনি ভাবতে পারেননি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শঙ্কর ঘনিষ্ঠ সুপ্রিয়াকে টিকিট না দিয়ে এই ওয়ার্ডে কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ অশোক সরকারকে প্রার্থী করা হয়। এবং তিনি জিতেওছেন। এর প্রতিবাদ করেই সুপ্রিয়া দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হন।
ফল ঘোষণার পর দেখা যায় অশোক সরকার ৩৫০টি ও সুপ্রিয়াদেবী ৩২০টি ভোট পেয়েছেন। অর্থাত হারের ব্যবধান মাত্র ৩০টি ভোট। অভিযোগ তারপরই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা টিপ্পনী কাটতে শুরু করলে সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ফিরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হন সুপ্রিয়া দে।