সারদা সহ ১০২টি চিট ফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেস নথিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের
সারদা সহ ১০২টি চিট ফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেস নথিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের
২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব ফেলেছে এমন ১০২টি চিট ফাণ্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই কেস নথিভুক্ত করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেশ কিছু সংস্থা ও ব্যক্তি কর্তৃক এমন কিছু বিনিয়োগ প্রকল্প সেই সময় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল যেখানে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে।
তিন অপরাধ দমন শাখার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে
সিবিআইয়ের কলকাতা বিভাগের দপ্তরে তদন্তকারী অফিসারের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে সিবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ১০২টি কেস তারা আর্থিক অপরাধ শাখা (ইওবি), দুর্নীতি বিরুদ্ধ শাখা (এসিবি) ও আর্থিক অপরাধ-ইউনিট চার (ইও-ফোর) -এর মধ্যে ভাগ করে দেবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের মে মাসে সপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে সিবিআইকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে চিট ফান্ড দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য। সংস্থার ডিরেক্টর ঋষি কুমার শুক্লা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারীর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত বিচারাধীন মামলায় মামলা রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ দিয়েছেন। সিবিআই এ বছরের শেষের মধ্যে ১০২টি মামলা নথিভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে।
১৫দিনে ছ’টি সংস্থা ও ২৫ জনের বিরুদ্ধে কেস নথিভুক্ত
ফেব্রুয়ারিতে শুক্লার কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কলকাতা শাখার সিবিআই কেস নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করে দেয়। গত ১৫ দিনের বেশি সিবিআই ছ'টি সংস্থা ও ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেস নথিভুক্ত করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার দু'বছরের মাথায় এই চিট ফান্ড দুর্নীতির পর্দাফাঁস হয়। সিবিআই স্থানীয় পুলিশদেরও তাদের স্ক্যানারে নিয়ে আসবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব স্থানীয় পুলিশ ভুল তদন্ত করেছে এই মামলায়।
সিবিআইয়ের বরিষ্ঠ আধিকারিক প্রস্তাব দেন
গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিবিআইয়ের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক পঙ্কজ শ্রীবাস্তব সিবিআই-কলকাতা পুলিশকে বিচারাধীন কেসগুলি নথিভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ নোট, যা এফআইআরে যুক্ত করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘ডিরেক্টরের নির্দেশ মেনে, ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যালোচনার পর সিবিআই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিচারাধীন কেসগুলি নথিভুক্ত করতে শুরু করেছে।' এখানে উল্লেখ্য যে রাজ্যের সিআইডি শাখা ২০১৪ সালের ৯ মে থেকে তদন্তাধীন ৫৭৮টি এফআইআর সিবিআইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
৩৯৩টি সারদা কেস রয়েছে
১৭ ফেব্রুয়ারি সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে সারদা কেস নয় এমন ৫৭৮টি কেস রয়েছে। অন্যদিকে ৩৯৩টি সারদা সংক্রান্ত কেসের এফআইআরও পাঠানো হয়েছে সিবিআইতে। যার মধ্যে ৭৮টি কেস তদন্তাধীন। সব সারদা কেস নথিঙুক্ত হয়ে গিয়েছে, তবে ১৬৩টি সারদা কেস নয় এমন কেস সিবিআইয়ের নথিভুক্ত করা বাকি রয়েছে।
কেস বিশ্লেষণের পর তা কমিয়ে ১০২ করা হয়েছে
অভিযুক্ত-ভিত্তিক এবং গ্রুপ-সংস্থার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করার পরে সিবিআইয়ের যে এফআইআরগুলির প্রয়োজন তা কমিয়ে ১০২ টি করা হয়েছে। এর সঙ্গে এও জানা গিয়েছে যে বেশ কিছু পুলিশ থানা কিছু মামলার চার্জশিটও পেশ করেছে। এই মামলাগুলি ২০১৪ সালের ৯ মে থেকে তদন্তাধীন ছিল। ছোট ছোট মামলাগুলি, যেগুলি পুলিশ চার্জশিট তৈরি করেছে, সেগুলি হয়ত পুনরায় তদন্ত করা যাবে না, শুধুমাত্র ভুল তদন্তের ক্ষেত্রেই তা করা যাবে। যদিও তার সংখ্যাটা প্রচুর নয়।
পশ্চিমবঙ্গের পর ওড়িশাতে কেস নথিভুক্ত
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২৫ টি করে কেস নথিভুক্ত করবে ইওবি ও এসিবি ও ৫২টি কেস নথিভুক্ত করবে ইও-ফোর শাখা। ইওবি ও এসিবিতে যদি তদন্তকারী অফিসার কম থাকে তবে তারা যেন ২০টি করে কেস নথিভুক্ত করে এবং বাকি কেসগুলি ইও-ফোর শাখাকে দিয়ে দেওয়া হবে। আগামী বছরের জন্য কোনও কেস যেন বাকি না থাকে নথিভুক্ত করার জন্য। ২৪ ফেব্রুয়ারি সিবিআইয়ের ডিরেক্টর এফআইআরগুলি নিবন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের পর একইভাবে ওড়িশাতেও সুপ্রিম কোর্টের আদেশে কেস নথিভুক্ত শুরু হবে।
রুটি আর পরোটা এক নয়! তাই পরোটা কিনলেই প্রবল জিএসটির বোঝা চাপতে পারে