পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়তার শিখরে মোদী! ২১-এ পদ্ম ঝড়ের আশঙ্কায় চিন্তিত মমতা
রাজ্যে সিএএ বিরোধী আন্দোলন দিয়েই মোটামুটি ২১-এর ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়েছিল। সেই সময় বিধানসভা উপনির্বাচনে পরপর ভালো ফলও করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর আরও তীব্র অক্রমণ মোদীর উদ্দেশে উগড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু করোনা ভাইরাস ও আম্ফান বিধ্বস্ত বাংলা এখন মোদী বন্দনায় ব্যস্ত। এমনটাই জানাচ্ছে আইএনএস-সি ভোটার-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা।
বিরোধীদের আশায় জল
গত বছরের ডিসেম্বরে সিএএ নিয়ে বিরোধিতা থেকে শুরু করে এ বছরের আর্ধেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশের পরিস্থিতি স্বভাবিক হয়নি। একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে দেশে। এই অবস্থায় বিরোধীরা আশায় বুক বেঁধেছিল যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর থেকে আস্থা উঠে যাবে মানুষের। তবে আদতে হল এর ঠিক উল্টোটা।
পশ্চিমবঙ্গে ৬৪.০৬ শতাংশ মানুষ মোদীর কাজে সন্তুষ্ট
রাজ্য ভিত্তিক হিসেব দেখতে গেলে, পশ্চিমবঙ্গে ৬৪.০৬ শতাংশ মানুষ মোদীর কাজে সন্তুষ্ট। এর কারণেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মমতার কপালে। এছাড়া সবাইকে অবাক করে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর গ্রহণযোগ্যতা ৫০ শতাংশের বেশি। তবে বিজেপির চিন্তার বিষয় বিহার। সেখানে মোদীর গ্রহণযোগ্যতা হিন্দিবলয়ে থাকা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটা কম।
অন্যান্য রাজ্যে মোদীর গ্রহণযোগ্যতা
হিমাচল প্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা সব থেকে বেশি। সেখানে ৯৫ শতাংশ মানুষ মোদীর পক্ষে। এরপর মোদীর সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ে। প্রসঙ্গত, ২১০৮ সালে এই ছত্তিশগড়ে ১৫ বছর পর বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করে।
কংগ্রেস শাসিত রাজ্যতেও মোদীর কাজে সন্তুষ্ট মানুষ
এছাড়া কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানেও মোদীর গ্রহণযোগ্যতা তুঙ্গে। সেখানে ৬৮.৮৪ শতাংশ মানুষ মোদীর পক্ষে। তবে দক্ষিণের তামিলনাড়ু ও কেরলে মোদীর গ্রহণযোগ্যতা তুলনামূলকভাবে কম। সেখানে যথাক্রমে ৩২.৮৯ শতাংশ ও ৩২.১৫ শতাংশ মানুষ মোদীর কাজে সন্তুষ্ট।