জনগণের কাছে পৌঁছতে দোলকে বেছে নিলেন ভোট প্রত্যাশীরা
যেমন ধরুন, হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সমর্থক আর স্থানীয় মানুষদের নিয়ে কাটালেন দোলযাত্রা। তিনি বললেন, "অন্যান্য যে কোনও উৎসবের মতো দোলও কাটালাম আমার ভোটকেন্দ্রের বাসিন্দাদের সঙ্গে। আজ কোনও রাজনীতি নয়, শুধুই রং আর রং।" হাওড়া লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী তথা বর্ষীয়ান অভিনেতা জর্জ বেকার বললেন, "হাওড়ার মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে আমি খুশি। আশা করি, ১৬ মে এমন খুশির হাওয়া বজায় থাকবে।" প্রসঙ্গত, ১৬ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে।
অনুরূপভাবে যাদবপুর এবং কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী যথাক্রমে সুজন চক্রবর্তী এবং রূপা বাগচীও সময় কাটিয়েছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কিন্তু তাঁদের ব্যাখ্যা, এটা শুধুই উৎসবে অংশ নেওয়া। ভোটকে মাথা রেখে জনসংযোগ নয়।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ভোটের আগে জনসংযোগ নয়, বরং এটাকে দেখা উচিত নিছক উৎসব হিসাবে। আমরা এই উৎসব এক সঙ্গে উদযাপন করছি মাত্র।" রূপা বাগচীর মতে, "আজ এক্কেবারে রাজনীতি নয়। আমরা এসেছি উৎসব পালন করতে।"
একইভাবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তাপস পাল বা মথুরাপুরের সিপিএম প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর দোল উদযাপন করেছেন নিজেদের নির্বাচনী এলাকায়। দল ভেদে আবিরের রং অবশ্য ভিন্ন। সিপিএম প্রার্থীরা লাল আবির ছড়িয়েছেন। আর তৃণমূল প্রার্থীরা ছড়িয়েছেন সবুজ আবির।