বেজেছে নির্বাচনী দামামা, পূর্ব বর্ধমানে পা রাখল কেন্দ্রীয় বাহিনী
নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণার আগেই গতকালই বাংলার মাটিতে পা রেখেছে ১৩ কোম্পানি সেনা। কাশ্মীর থেকে বিশেষ ট্রেনে দুর্গাপুরে পৌঁছায় ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ। অন্যদিকে শনিবার সকালে বর্ধমান স্টেশনে নেমেছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাতে রয়েছেন ৭২ জন সেনা জওয়ান। এই বাহিনী পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ করবে বলে জানা যাচ্ছে। বর্ধমান স্টেশনে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানাতে উপস্হিত ছিলেন সি আর পি আধিকারিক ও রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।


ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার ২ মাস আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। ভোটের আবহে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে নতুন করে অবনতি না হয়, তা ঠেকাতেই কমিশনের তরফে এই বিশেষ ব্যবস্থা বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে এবার রাজ্যের ১০০% বুথকেই স্পর্শকাতর ধরেই নির্বাচন পরিচালনা করা হবে বলে খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। তাই ভোটের প্রায় তিন মাস আগেই সেনা মোতায়েনে অবাক হচ্ছেন না অনেকেই।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ভোটারদের মনোবল বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই দ্রুত পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় সেনা টহল শুরু হয়ে যাবে বলে খবর। অন্যদিকে দুর্গাপুর স্টেশনে নামে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামে। সেখানে এক একটি কোম্পানিতে একশো করে জওয়ান রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখান থেকে ১ কোম্পানি বীরভূম, ১ কোম্পানি বাঁকুড়ায় যায়। বর্ধমানের পর ডানকুনিতে নামে ৫ কোম্পানি এবং কলকাতা স্টেশনে নামে ৪ কোম্পানি সিআরপিএফ। কলকাতায় যে তিন কোম্পানি বাহিনী এসেছে তারা বিধাননগর, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, হুগলি, ব্যারাকপুর, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুরে টহলদারির কাজ করবে বলে খবর।