করোনায় লকডাউনের মধ্যে অভিনব কর্মসূচি, খাবার তুলে দিতে উদ্যোগ বসিরহাটে
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ধান্যকুড়িয়া অঞ্চলের মানুষের অভিনব কর্মসূচি। সকাল হতেই পরিবারের জন্য নয়, ভবঘুরে ও সারমেয়র জন্য খাবারের বন্দোবস্ত নিয়ম করে।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ধান্যকুড়িয়া অঞ্চলের মানুষের অভিনব কর্মসূচি। সকাল হতেই পরিবারের জন্য নয়, ভবঘুরে ও সারমেয়র জন্য খাবারের বন্দোবস্ত নিয়ম করে। মুখে মাক্স পড়ে গ্রামের মহিলারা তিন বেলা রান্না করে দিচ্ছেন। কলেজ পড়ুয়া থেকে যুবকেরা তা গাড়িতে তুলে রীতিমতো মাইক প্রচার করে খাবার তুলে দিচ্ছেন।
টাকি রোড ভবঘুরে ও কুকুরদের পাত পেতে খাওয়াচ্ছেন। বিশেষ করে তাদের জন্য তৈরি হচ্ছে প্রতিদিনই সুস্বাদু বিভিন্ন ধরনের মেনু ।কখনো মাংস ভাত আবার কখনো ডিম ভাত আবার কখনো দুধ মিষ্টি ভাত। সবমিলিয়ে এই খাবার পেয়ে খুশি রাত্রের ভবঘুরেরা। বাদ যাচ্ছে না পথের কুকুররা।
মূলত এই উদ্যোগ নিয়েছেন বসিরহাট উত্তর বিধানসভার চেয়ারম্যান এটিএম আব্দুল্লাহ রনি ও মাটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সঞ্জীব সেনাপতি স্থানীয় ক্লাব সংগঠনের সদস্য অভিজিৎ মণ্ডল মিহির ঘোষ মাহমুদ হাসান সহ বিশিষ্টজনেরা সঙ্গে কলেজ পড়ুয়া বাদ নেই গ্রামের মহিলারা।
তাদের জমানো অর্থ দিয়ে তারা রীতিমতো মাথায় ত্রিপল প্যান্ডেল বেঁধে। জ্বালানির কাঠ মজুদ করে রান্না চাল ডাল আলু পিয়াজ জমায়েত করে। এনে সেগুলো প্রতিদিনকার মত রান্না করে দিচ্ছেন। ধান্যকুড়িয়া বিপ্লবী সংঘ প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে রান্নাঘর। দুপুর বারোটা বাজলেই গাড়িতে খাবার তুলে রওনা দিচ্ছে টাকি রোডের ধারে থাকা ভবঘুরের খাওয়ানোর জন্য একদল যুবক।
আবার রাত্রি আটটা বাজলে স্বয়ং চেয়ারম্যান এটিএম আবদুল্লা রনি পুলিশ আধিকারিক সঞ্জীব সেনাপতি নিজে হাতে খাবারের থালা নিয়ে সারমেয়ও ভবঘুরেদের খাওয়াচ্ছেন।একই ছবি ধরা পড়ছে। মোবাইল ভ্যানে খাবার এই দৃশ্য দেখা দুপুর বারোটা বাজলে রাত্রি আটটা বাজলে এই উদ্যোগকে মানুষ দুই হাত ভরে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।