গুজরাত, মহারাষ্ট্র, দিল্লি পারেনি, করোনা সংকটকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মমতা সরকারের
গুজরাত, মহারাষ্ট্র, দিল্লি পারেনি, করোনা সংকটকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মমতা সরকারের
মুম্বই, সুরাত, দিল্লি শয়ে শয়ে পরিয়াযী শ্রমিক পথে ঘাটে দিন কাটাচ্ছেন। খাবার নেই, পকেটে একটা টাকাও নেই। অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটছে তাঁদের। যার জেরে একাধিক রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পথ দেখাল সেই বাংলা। এই পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা বাংলার শ্রমিকদের জন্য স্নেহের পরশ প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ প্যাকেজ
করোনা সংকটে লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন রাজ্যের শ্রমিকরা। বাড়ি ফিরতে পারছেন না তাঁরা। অত্যন্ত সংকট জনক পরিস্থিতিতে রয়েছেন। খাবার নেই, আশ্রয় নেই, হাতে টাকাও নেই। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করলেন শুক্রবার তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্নেহের পরশ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। তাতে ১০০০ টাকা করে পাবেন ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। অনলাইনে তাঁদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। সোমবার থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিযায়ী শ্রমিক অসন্তোষ
মুম্বইয়ে কয়েকদিন আগেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশেন প্রায় হাজার খানেক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার জন্য বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের মধ্যে বাংলার শ্রমিকরাও ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো গুজব থেকেই এই বিক্ষোভ বলে জানা গিয়েছিল। যদিও পরে বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। একই বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে সুরাতেও। অন্যদিকে দিল্লিতে শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিক যমুনা নদীর তীরে খোলা আকাশের নিচে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের থাকার এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করে কেজরিওয়াল সরকার।
করোনা ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে হাওড়া এবং কলকাতায় লকডাউন মানার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নইলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। রাজাবাজার, মানিকতলা, কাঁকুরগাছি, নারকেল ডাঙা সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরতে হলে পুলিসের অনুমতি লাগবে বলে জানানো হয়েছে। সেই এলাকার বাজার অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।