জিএসটিতে কতটা চাপ বাড়ল রান্নাঘরের গ্যাসে, জেনে নিন সেই তথ্য
জিএসটি এবং ভর্তুকির জোড়া ফলা। জিএসটির ফলে পশ্চিমবঙ্গে সিলিন্ডার পিছু দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ টাকা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভর্তুকি কমার প্রভাবও
জিএসটির কবলে চাপ বেড়েছে হেঁসেলে। ১ জুলাই থেকে বেড়েছে গৃহস্থলির সিলিন্ডারের দাম। জিএসটি লাগু হওয়া এবং ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার ফলেই এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। গতমাসের সঙ্গে এমাসের তুলনায় সিলিন্ডার পিছু প্রায় ৩২ টাকা দাম বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যেসব রাজ্যে জ্বালানির ওপর কোনও কর ছিল না, সেই সব রাজ্যে সিলিন্ডার পিছু ১২ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। যে সব রাজ্যগুলিতে আগে থেকে থাকা কর এবং জিএসটির মধ্যে যে তফাত রয়েছে, সেরকমই বেড়েছে গ্যাসের দাম।
এতেই শেষ নয়, গ্যাসের সঙ্গে যুক্ত একাধিক বিষয়ের জন্য গ্রাহকদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। সেগুলি হল, দুবছরের আবশ্যিক পরিদর্শন, নতুন গ্যাস কানেকশনের জন্য প্রশাসনিক খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও পড়ছে। কেননা এইসব পরিষেবাও জিএসটির ১৮ শতাংশ করের আওতায় পড়ছে।
জিএসটির অধীনে এলপিজির ওপর ৫ শতাংশ কর ধার্য হয়েছে। কিন্তু এর আগে দিল্লিসহ একাধিক জায়গায়, গ্রিন ফ্লুয়েলের ওপর কোনও কর ছিল না। কিংবা কোনও কোনও রাজ্যে কর ছিল ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে। ফলে কর বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে ভর্তুকি কমে যাওয়ার কারণে দুদিক থেকে চাপ বেড়েছে গ্রাহকদের ওপর।
ইন্ডেন ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গের কর্তা বিজন বিহারী বিশ্বাস জানিয়েছেন, ৫ শতাংশ জিএসটি লাগুর ফলে রাজ্যে সিলিন্ডার পিছু দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ টাকার মতো।
অল ইন্ডিয়া ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশনের ন্যাশনাল সেক্রেটারি বিপুল পুরোহিত দাম বৃদ্ধি নিয়ে আগ্রার উদাহরণ তুলে ধরেছেন। আগে যেখানে, ১১৯ টাকা ভর্তুকি পাওয়া যেত এখন সেখানে ভর্তুকি মিলছে ১০৭ টাকা।