দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে কাটা গ্যাসের কারবার
প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় অলিতে গলিতে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ।
প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় অলিতে গলিতে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ। যাকে কাটা গ্যাসের কারবারও বলা হয়। দেখা যাচ্ছে, এলাকায় মুদির দোকান, এমনকী বসতবাড়িতেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাটা গ্যাস ভর্তির কাজ হচ্ছে।
এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে গ্যাসের তীব্র গন্ধ সবসময় পাওয়া যায়। যা থেকে যেকোনও সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এছাড়াও খবর, অসাধু ব্যবসায়ীরা এই গ্যাস খোলা বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে।
[আরও পড়ুন: 'তৃণমূলের তো একটাই বোলার, আমাদের বাউন্সার-গুগলি ধেয়ে আসছে একের পর এক']
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, 'বাজারে কাটা গ্যাসের চাহিদা প্রচুর। আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কী, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে সময়মতো বুকিং করে পাওয়া যায় না। তখন বাজারের কাটা গ্যাসের ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় থাকে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জানি কাজটা অবৈধ তবে পেট চালাতে হবে বলেই একাজ করা।
[আরও পড়ুন:প্রিয়াঙ্কার আগমনে কেল্লাফতে, দু-মাসে কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা এক লাফে বাড়ল ২২ শতাংশ]
প্রসঙ্গত, বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন পাড়ার দোকানগুলিতে উঁকি দিলেই দেখতে পাওয়া যায় গ্যাস ভর্তির কাজ চলছে। সবকিছুই প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটছে। তবুও তাদের এই ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির কাজটা যেমন ঝুঁকির তেমনই বেআইনিও বটে। প্রশাসন সব জেনেও কেন নীরব তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
[আরও পড়ুন: অর্জুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট]