ভেজা জামা-কাপড় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আইআইটি খড়্গপুরের গবেষকদের
অপ্রচলিত
শক্তির
হাত
ধরে
বিদ্যুৎ
উৎপাদনে
এবার
এক
যুগান্তকারী
আবিষ্কার
খড়্গপুরের
আইআইটি
গবেষকদের।
এবার
খড়্গপুরের
মেকানিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং
বিভাগের
একদল
গবেষক
ভেজা
জামাকাপড়
থেকে
বিদ্যুৎ
উৎপাদন
করে
সাড়া
ফেললেন
দেশ
জুড়ে।
সূত্রের খবর ধোবি ঘাটে প্রায় ৩০০০ বর্গমিটার এলাকায় এই গবেষণাটি চালানো হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা প্রায় ৫০টির বেশি ভেজা জামাকাপড়। বাণিজ্যিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কাপড় গুলির সাথে একটি সুপার-ক্যাপাসিটর সংযুক্ত করা হয়। এই বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হন গবেষকের দল। যা একটি এলইডি বাল্বকে ১ ঘণ্টার উপর আলোকিত করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী চক্রবর্তী তাদের এই গবেষণা প্রসঙ্গে বলেন, ' খোলা জায়গায় শুকোতে দেওয়া ভেজা জামাকাপড় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে গবেষণা করেছি। বর্তমানে আমরা স্বল্প পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সক্ষম হয়েছি। এই শক্তিটি হঠাৎ পরিসরে প্রয়োগের জন্য ব্যবহার না করা গেলেও তবে আমরা আশাবাদী আগামীতে গ্রামীণ জন জীবনের পরিবর্তনের পথে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।’
এই প্রসঙ্গে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রিসার্চ স্কলার ও গবেষক দলের অন্যতম সদস্য শঙ্খ শুভ্র দাস বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি বর্তমান প্রযুক্তির মাধ্যমে একক ইউনিট থেকে আমরা প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ মিলিভোল্ট বিদ্যুৎ পেতে সক্ষম হচ্ছি। আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলিকে আগামীতে ৪০ থেকে ৬০ ইউনিটেও উত্তীর্ণ করা যেতে পারে।’ সূত্রের খবর, আইআইটির গবেষকেরা বর্তমানে এই প্রযুক্তিটি এমন প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল গুলিতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছেন যেখানে বিদ্যুতের সহজলভ্যতাই মানুষের জীবন যন্ত্রণার প্রধান কারণ।