পিছু হটল খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ, গবেষক-পড়ুয়াদের অনশন-বার্তা আসতেই ফি কমল
এক ধাক্কায় সাত হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছিল হস্টেল ফি। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে মাত্র ২২০০ টাকা ফি বৃদ্ধির কথা জানাল খড়গপুর আইআইটি।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ ডিসেম্বর : ছাত্র বিক্ষোভের জেরে অবশেষে পিছু হটল খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। গবেষক পড়ুয়াদের টানা তিনদিনের বিক্ষোভ-অবস্থান-ধরনার পর আমরণ অনশনের বার্তা আসতেই নমনীয় হল কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে হস্টেল ফি-র বৃদ্ধি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এক ধাক্কায় সাত হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছিল হস্টেল ফি। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে মাত্র ২২০০ টাকা ফি বৃদ্ধির কথা জানাল খড়গপুর আইআইটি। এরপরই তুলে নেওয়া হয় ছাত্র বিক্ষোভ।
গতকালই ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় পর আইআইটি-র গবেষক পড়ুয়ারা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, যতক্ষণ না হস্টেল ফি-র বিপুল বৃদ্ধি প্রত্যাহার করা হয়, ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। এই অনশনের বার্তা ফ্যাকালটির কাছে পৌঁছতেই তড়িঘড়ি সেনেটরদের বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকেই ডিনদের তরফে অধিকর্তার কাছে প্রস্তব দেওয়া হয় ৭০ শতাংশ ফি কমিয়ে দিতে। শেষপর্যন্ত সেই প্রস্তাবেই মান্যতা দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়েছিল আইআইটি ক্যাম্পাসে। ডিরেক্টর ও ডিনকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল রাতভর। বুধবার খানিক নমনীয় হয়ে ডিরেক্টর ও ডিনদের ঘেরা মুক্ত করেছিলেন আইআইটি পড়ুয়ারা। টানা ২৫ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর মুক্ত হয়ে স্বস্তি মিলেছিল ডিরেক্টর ও ডিনদের। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নমনীয় হয়নি। তাঁরা আলোচনাতেও রাজি ছিলেন না। তাই গবেষক পড়ুয়ারা বিক্ষোভ-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয় আলোচনায় বসে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হবে। সেইমতো রণে ভঙ্গ দিয়ে আলোচনার টেবিলে যান পড়ুয়ারা। কিন্তু দফায় দফায় আলোচনার পরও সমাধান সূত্র মেলেনি। তাই আলোচনার টেবিল থেকে ফিরে গিয়ে ফের আন্দোলনেই আস্থা রাখেন তাঁরা। এই আন্দোলনের মাত্রা বাড়াতেই কর্তৃপক্ষ নমনীয় হল। মিলল সমাধান।