কলকাতার বাসিন্দা লখনউ আইআইএম ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
কলকাতার বাসিন্দা লখনউ-এর আইআইএম-এর ছাত্র সোহম মুখোপাধ্যায়ের রহস্য মৃত্যু। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ধুলন্ত দেহ। বুধবার বিকেলে দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই অনুমান পুলিশের।
কলকাতার বাসিন্দা লখনউ-এর আইআইএম-এর ছাত্র সোহম মুখোপাধ্যায়ের রহস্য মৃত্যু। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ধুলন্ত দেহ। বুধবার বিকেলে দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই অনুমান পুলিশের।
[আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যে এই কারণে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক হল আধার ]
কলকাতার লেকগার্ডেন্সের বাসিন্দা সোহম মুখোপাধ্যায়ের পড়াশোনা সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। চাকুরিরত বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। পরবর্তী সময়ে গুয়াহাটি আইআইটি থেকে স্নাতক হন তিনি। এরপরেই বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি শুরু করেন তিনি। ২০১৬-তে লখনউ-এর আইআইএম-এ সুযোগ পান বছর ২৫-এর সোহম।
জানা গিয়েছে, ১২ নভেম্বর থেকে ক্লাসে যাচ্ছিলেন না সোহম মুখোপাধ্যায়। এরপর বুধবার বিকেলে লখনউ-এর ম্যাডিয়ন এলাকার ১৬ নম্বর হস্টেলের ৭১ নম্বর ঘরে ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় ছিল। কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না গেলেও, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন সোহম।
১২ নভেম্বর থেকে ক্লাসে না যাওয়ায় সোহমের খোঁজ শুরু করেন সহপাঠীরা। ফোনেই সোহমকে না পেয়ে হস্টেলের ঘরে যান। তাঁরাই ঘরের জানালা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন।
সোহমের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে লখনউ-এর আইআইএম কর্তৃপক্ষ।
খবর পেয়েই লখনউ গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
লেকগার্ডেন্স এলাকায় প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কোনও দিনই সোহম সম্পর্কে খারাপ কিছু শোনেননি তাঁরা।
লখনউ আইআইএম-এর অপর এক কলকাতার ছাত্র শুভদীপ দাস ১৮ জুলাই থেকে নিখোঁজ। বাড়ি যাওয়ার জন্য হস্টেল থেকে বেরিয়ে ছিলেন। বাড়িতেও যাননি, হস্টেলেও ফিরে যাননি শুভদীপ। ঘটনাটি নিয়ে ২৪ জুলাই ম্যাডিয়ন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।