সরকারি নিদান উপেক্ষা করেই শব্দবাজির বিকিকিনি চুটিয়ে, ফাটছেও দেদার
কড়া নির্দেশিকা অমান্য করেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি দেদার ফাটছে রাজ্যে। পুলিশি অভিযানও চলছে। কিন্তু কিছুতেই বদলাচ্ছে না ছবিটা। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার।
কলকাতা, ২৯ অক্টোবর : কড়া নির্দেশিকা অমান্য করেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি দেদার ফাটছে রাজ্যে। পুলিশি অভিযানও চলছে। কিন্তু কিছুতেই বদলাচ্ছে না ছবিটা। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার। শুধু মার খাচ্ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা।
ভিতরে ভিতরে শব্দবাজি তৈরি হচ্ছে প্রচুর, ফাটছেও দেদার। কেউ কানেই তোলেনি ৯০ ডেসিবেলে শব্দদানবকে আটকে রাখার সরকারি নিদান। রাজ্যে বাজির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি। এখান থেকে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে বাজি। সে আতসবাজিও হোক শব্দবাজি। আতসবাজির আড়ালেই যেমন তৈরি হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি, তেমনই বিকিকিনিও চলে বেআইনি বাজিরও। লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রি তো আছেই, কেউ কেউ প্রকাশ্যে পসরা সাজিয়েছেন।
নিষিদ্ধ চিনা বাজিরও প্রচুর আমদানি। খোলা বাজারে রংমশাল চড়কির সঙ্গে মিলে মিশে বিক্রি হচ্ছে কালিপটকা, দোদোমা, রঙিন রাংতায় মোড়া চকোলেট বোমও। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান, নিত্য নজরদারি সত্বেও কীভাবে চলছে এসব? কেনই বা চলবে না। ধরপাকড় নাকি সব হয় লোক দেখানো। সর্ষের মধ্যে ভুত না থাকলে কী আর বুক ফুলিয়ে বিক্রি-বাটা চলে।
ক্রেতার যাতে শব্দবাজি কিনতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেও তীক্ষ্ম নজর থাকে ওইসব বাজি বিক্রেতাদের। না, শুধু চম্পহাটি নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুঙ্গিতেও একই ছবি। পিছিয়ে নেই কলকাতাও।
হরিদেবপুর হোক বা হরিণঘাটা, ভীমতলা বা ভুঁঞেড়া- সর্বত্রই এক ছবি। ফেলো কড়ি মাখো তেল। যেমন দাম, তেমন আওয়াজ। আর শুধু কি বাজি বাজার? পাড়ায় পাড়ায় সাধারণ দোকানেও শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে চুটিয়ে। কালীপুজোর আগের রাত থেকেই কান পাতার জো নেই। শব্দ দানবের জ্বালায় অতীষ্ট শহর-শহরতলি, গ্রাম-গঞ্জ। কালীপুজোর রাতেও নিশ্চয় রেহাই মিলবে না। শব্দদানবকে জব্দ করতে না পেরে খোদ পরিবেশমন্ত্রীর গলাতেও হতাশার সুর।