পর্যটনকে নষ্ট করতে দার্জিলিংয়ে মোর্চাকে উসকানি 'অন্য শক্তির', পাহাড়ে কাদের তোপ মমতার
এনডিএ শাসিত সিকিম আর্থিক সাহায্য করে গোর্খাল্যান্ড বিক্ষোভকারীদের চাঙ্গা করে রাখছে। যার ফলে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে গোলমাল থেমেও থামছে না। পাহাড় সফরে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
এনডিএ শাসিত সিকিম আর্থিক সাহায্য করে গোর্খাল্যান্ড বিক্ষোভকারীদের চাঙ্গা করে রাখছে। যার ফলে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে গোলমাল থেমেও থামছে না। পাহাড় সফরে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্য সভায় তাই সিকিমকে বাংলার বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, দার্জিলিংয়ের বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবেশী অনেকে তা সহ্য করতে পারে না। দার্জিলিংয়ের পর্যটনকে নষ্ট করে পর্যটকদের নিজেদের রাজ্যে টেনে নিয়ে যাওয়ার কৌশল চলছে।
দার্জিলিংকে সুইজারল্যান্ডের চেয়েও সুন্দর ব্যাখ্যা করে মমতা বলেছেন, আমি চাই সিকিমেও শান্তি বজায় থাকুক। আমাদের ডাকে তাই সাড়া দিয়ে আহ্বান জানাচ্ছি সিকিমকে।
ঘটনা হল, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে সিকিমের সঙ্গে বাংলার বিরোধ গতবছর থেকেই চলছে। সিকিমের অভিযোগ ছিল, গোর্খাল্যান্ড বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পর্যটন ব্যবসা মার খাচ্ছে। কারণ আসতে হলে উত্তরবঙ্গ পেরিয়েই পর্যটকদের আসতে হয়। দার্জিলিংয়ে গোলমাল চলায় সকলে আসতে পারছেন না।
মমতার অভিযোগ, সিকিম ছাড়াও অন্য বিদেশি শক্তি দার্জিলিংয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে চলেছে। এছাড়া রাজ্যের বাইরে থাকা কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এদের সকলের থেকে দূরে থাকার কথা বলেছেন মমতা।
পাশাপাশি পাহাড়ে ফের একবার বিজেপিকে তুলোধোনা করে মমতার অভিযোগ, গোর্খাল্যান্ড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিজেপি রাজনীতি করেছে। যার ফলে পাহাড়ের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। তিনি পাহাড়ে বিজেপির মতো ভোট চাইতে আসেন না বলেও দাবি করেন মমতা।
এদিকে মমতার পাহাড় সফরের মধ্যেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, আলাদা রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের জন্য তাঁর লড়াই জারি থাকবে। এখন দেখার পাহাড়ের গতিপ্রকৃতি কোনদিকে গড়ায়।