আঞ্চলিক ভাষায় পঠনপাঠনে বড়সড় পদক্ষেপ আইআইটি খড়গপুরের! ভাষা হাব তৈরির ভাবনা
করোনা সংক্রমণের জেরে বদলেছে সমাজের প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রই। রাজনীতি থেক সামাজিক পরিকাঠামো, ছাপ পড়েছে সমাজের প্রতিটা স্তরেই। বদল এসেছে পঠনপাঠনেও। শিক্ষাবিদদের মতে, অনলাইন মোডে পড়াশোনা চালু হলেও ফাঁক থেকে গেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের একটি ঘোষণায় তাক লেগেছে সকলেরই। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভারতের আইআইটি ও এনআইটিগুলিতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা সম্পূর্ণভাবে আঞ্চলিক ভাষায় করানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর তারই তোড়জোড় শুরু করেছে আইআইটি খড়গপুর।

"নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এটাই সঠিক সময়"
নতুন শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে বলতে গিয়ে আইআইটি খড়গপুরের পরিচালন অধিকর্তা ভি কে তিওয়ারি জানিয়েছেন, "নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এটাই সেরা সময়।" তিওয়ারি এও জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষীর পড়ুয়াদের তাদের আঞ্চলিক ভাষায় পড়ানোর জন্য শিক্ষাঙ্গনে 'ভাষা হাব' এবং বহুভাষায় শিখনের জন্য নানা সরঞ্জামের দরকার। যার প্রস্তুতিই পুরোদমে শুরু হয়েছে।

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা'-র প্রয়োগেই মুশকিল আসান ?
আইআইটি খড়গপুরের এক আধিকারিক এ বিষয়ে জানিয়েছেন, "সুবিধার জন্য ক্লাস চলাকালীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতাযুক্ত 'হিয়ারিং এড' ব্যবহার করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এতে সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষকশিক্ষিকাদের বক্তব্য শুনতে পারবে পড়ুয়ারা।" যদিও তাতেও পুরোপুরি সমস্যার সমাধান হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। অনেক শিক্ষাবিদের মতে, আঞ্চলিক ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করতে বেশ বড়সড় সমস্যায় পড়বেন শিক্ষকরা। তবে এই ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে কতটা মুশকিল হাসান হবে সেটা সময় বলবে।

শিক্ষার পথে ভাষা কখনও অন্তরায় হতে পারে না
নবব্যবস্থা সম্বন্ধে ভি কে তিওয়ারি ট্যুইটারে লিখেছেন, "বর্তমান সমাজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেখানে প্রতিযোগিতা এত বেশি, সেখানে শিক্ষার পথে যেন ভাষা কোনোভাবেই বাধা না হয়।" তিনি আরও লিখেছেন, "সরকারিভাবে শিক্ষামন্ত্রক যখন নির্দেশ দিয়েই দিয়েছে, তখন নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ যথাসত্ত্বর নেওয়া উচিত বলে আমার মত।"

নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার ক্ষেত্রে আসতে পারে সমস্যা
শিক্ষাবিদদের মতে, আঞ্চলিক ভাষায় শিখনের যে নতুন ধারা চালু করতে চাইছে কেন্দ্র, তাতে আইআইটি ও এনআইটিগুলিতে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের বিশাল পাঠ্যক্রম শেষ করতে বেগ পেতে হতে পারে শিক্ষকদের। যদিও ২০২১ থেকে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে চালু হবে এই ব্যবস্থা, তার তালিকা এখনও প্রকাশ করেনি শিক্ষামন্ত্রক। তবুও আগেভাগেই ভি কে তিওয়ারি ভেবে ফেলেছেন কর্মপদ্ধতি। নব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে খড়গপুর আইআইটিই যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, তা বলাই যায়।

গুরুং-গিরির সমর্থন তৃণমূলকে, তামাং-থাপারা কী করবেন! নয়া মোড় আসছে পাহাড়ে