ইচ্ছামতীর ভাঙনে আতঙ্ক বসিরহাট সীমান্ত এলাকায়, ত্রস্ত স্থানীয়রা
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য আখারপুর গ্রামে একের পর এক বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে ইছামতী নদীতে। স্কুল ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন গৃহহীন দুর্গতরা। ভয়াবহ ভাঙনের কবলে প্রায় ছটি বাড়ি। ইছামতি নদীর প্রায় দেড়'শ ফুট নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু ঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি নদীগর্ভে। ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসীরা। কিছু পরিবারকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কিন্তু আতঙ্ক আর ভয় গ্রাস করেছে গ্রামের মানুষের। শীতকালের রাতের ঘুম কেড়ে গ্রামবাসীদের। এর আগে শীতকালে এই ধরনের ভাঙ্গন দেখা যায়নি বলছেন গ্রামের মানুষ। তাই রাত পাহারায় নদী বাঁধে গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যে সেচ দপ্তর কিছু বালির বস্তা ও ইটের খোয়া দিয়ে নদী বাঁধের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু তা যথাযথ নয় বলেই মনে করছেন দুর্গতরা।
দুর্গত গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন গত তিন মাস আগে শুরু হয়েছিল এই নদী ভাঙ্গন। প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম সাহায্য পাওয়া যায়নি। এমনকি দিদিকে বলোর যে ফোন নং আছে সেখানেও জানিয়ে কোনো ফল হয়নি। তিন মাস আগের সেই সময় যদি দ্রুত কাজ শুরু হতো তাহলে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন হতে হতো না। আখারপুর, নিকারিপাড়া, মধ্য আখারপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। এমনকী ভারত বাংলাদেশের জিরো পয়েন্ট ঘোজাডাঙা সীমান্তের সুইসগেটেও জল ঢুকে যেতে পারে। বড়সড় বিপর্যয় শুধু সময়ের অপেক্ষায়। কয়েক হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া হতে পারেন।