বিদায়বেলায় কণ্ঠে কিশোর কুমারের গান, বদলির চিঠি হাতে আবেগঘন নিবেদন বিবেকের
মুখ্যমন্ত্রীর হাতের দফতরে তিনিই ছিলেন সচিব। করোনার আবহে সেই সচিবের বদলি হয়ে গেল। হাসিমুখে বদলির কাগজ নিয়ে কণ্ঠ ছেড়ে গান গাইলেন সচিব বিবেক কুমার। একেবারে ‘বিবেকে’র ভূমিকাই নিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর হাতের দফতরে তিনিই ছিলেন সচিব। করোনার আবহে সেই সচিবের বদলি হয়ে গেল। হাসিমুখে বদলির কাগজ নিয়ে কণ্ঠ ছেড়ে গান গাইলেন সচিব বিবেক কুমার। একেবারে 'বিবেকে'র ভূমিকাই নিলেন তিনি। কিশোর কুমারকে কণ্ঠে নিয়ে সুগায়ক বিবেক কুমার বিদায় জানালেন তাঁর স্বাস্থ্য দফতরকে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে বিদায় সংবর্ধনায় বিবেক কুমার গান ধরেছিলেন- মুসাফির হুঁ ইয়ারো, না ঘর হ্যায় না ঠিকানা...। সুকণ্ঠী বিবেক কুমার তাঁর বিদায় বেলায় মাত করে দিলেন বিদায়ী মঞ্চ। গানের কথাতেই তিনি বলে গেলেন অনেক না বলা কথা। আর তাঁর সুমধুর কণ্ঠে সুরের জাদুতে মোহিত করে গেলেন প্রশাসক-চিকিৎসকদেরও।
১৯৯০ ব্যাচের আইএএস বিবেক কুমার। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব পদে ছিলেন। তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল করোনার আবহে। তাঁকে সরারো হল পরিবেশ দফতরে। পরিবেশ দফতরের প্রধান সচিব প্রভাস মিশ্রকে পরিবহণ দফতরে সরিয়ে, পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে স্বাস্থ্য দফতরে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের চিঠির জবাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আর মেডিকেল বুলেটিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভিন্ন হওয়ায় বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সেই বিতর্কই গড়ায় বদলি পর্যন্ত। স্বাস্থ্যসচিব প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করেন পশ্চিমবঙ্গে মোট কেস রিপোর্ট ৯৩১। আর মেডিকেল বুলেটিনে বলা হয় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ৫৭২।
বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলেছিল, কেন কেন্দ্রের তথ্যের সঙ্ঘে রাজ্যের তথ্যে মিল। উত্তর দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে রাজ্য। এরপরই রাজ্যের বুলেঠিনের ধরন বদলে যায়। মোট আক্রান্তের সংখ্যাও জানানো শুরু করে রাজ্য। তারপরই আঙুল উঠল সচিবের দিকে। শেষমেশ সচিবকে সরিয়েই দেওয়া হল। তিনি গান গেয়ে বিদায় নিলেন। তিনি সেই গানে আমলা জীবনের প্রবহমান ধারার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন।
আমেরিকার পর দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া, দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২৩২,০০০ জন