আমি বিরোধীদের থেকেও কাজ শিখতে চাই : সন্ধ্যা রায়
প্রশ্ন : কখনও ভেবেছিলেন রাজনীতিতে যোগ দেবেন?
সন্ধ্যা রায় : না কখনও ভাবিনি। তবে মানুষের কথা চিরকালই ভাবতাম। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে আর পারলাম না।
প্রশ্ন : জয়ের বিষয়ে কতটা আশাবাদী?
সন্ধ্যা রায় : ২০০ শতাংশ। কোনও দ্বিমত নেই। আমি রাজনীতি জানি না বুঝি না। শুধু মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাদের দুঃখে পাশে দাঁড়াতে চাই। মানুষই আমায় শিখিয়ে দেবে কীভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করব।
প্রশ্ন : আপনার প্রচারে কোন বিষয়গুলি প্রাধান্য পাবে?
সন্ধ্যা রায় : মানুষের কথা বলাটাই আমার কাছে প্রাধান্য পাবে। আর জীবনধারণের জন্য প্রাথমিক বিষয়গুলি। যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাস্তা। ওখানে রাস্তা খারাপ। ক্লিনিকে আসার জন্য ৭০ কিলোমিটার ভ্যান রিক্সায় আসতে হয়। খাবার জলের সমস্যা রয়েছে। আগে ওদের প্রাথমিক চাহিদা মেটানোর দিকেই নজর দেব।
প্রশ্ন : বিরোধীপক্ষকে কোনও বার্তা দিতে চান?
সন্ধ্যা রায় : না, ওরকমভাবে কিছু ভাবিনি। এলাকায় সমস্যা আছে। যারা এখানে আগে দায়িত্বে ছিলেন, কিছু হয়তো কাজ করেছেন। বেশিরভাগটাই করেননি। মানুষের চাহিদা মেটেনি। আমি এসেছি ওদের চাহিদা পূরণ করতে। আমার অনেককিছু শেখার আছে। বিরোধীদের থেকেও অনেক শেখার আছে। আমিও শিখতে চাই সবার থেকেই।
প্রশ্ন : প্রচার শুরু করে দিয়েছেন? প্রচারের জন্য আলাদা করে কোনও স্ট্র্যাটেজি ভেবেছেন নাকি?
সন্ধ্যা রায় : প্রচার শুরু ২ তারিখ থেকে। তার আগে অবশ্য কর্মীসভা করে এসেছি। কোনও আলাদা স্ট্র্যাটেজি নেই। মানুষের কাছে যাওয়াটা দরকার। সেটাই করব। মানুষের সেবা করা পুণ্যের কাজ।
প্রশ্ন : আপনার অভিনয় সত্ত্বা বাদ দিলে কোনও একটা বিষয় বলুন যার জন্য মানুষ আপনাকে ভোট দেবেন বলে মনে হয়?
সন্ধ্যা রায় : আমি এখন অভিনেত্রী নয়, ওদেরই একজন। আমার নতুন ভূমিকা মানুষের জন্য কাজ করা। তাতে একটা অন্য তৃপ্তি আছে।আমার অনেককিছু শেখার আছে। বিরোধীদের থেকেও অনেক শেখার আছে। আমিও শিখতে চাই সবার থেকেই।
প্রশ্ন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক কথায় কীভাবে বর্ণনা করবেন?
সন্ধ্যা রায় : উনি জগৎজননী। জনমানসের কান্না-দুঃখ যে বুঝতে পারে তাঁকেই তো জগজ্জননী বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের, দুঃখ, কান্না, আর্তনাদ বুঝতে পেরেছেন নিজের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে। এটা কী কোন সাধারণ মানুষ পারে? তাই তো উনি সাধারণ হয়েও অসাধারণ।