কথা নয়, গান দিয়েই পদ্মফুল ফোটাতে চান বাপ্পি লাহিড়ি
তাই প্রচারে বেরিয়ে বাপ্পিদার গলায় কখনও শোনা যাচ্ছে , 'উ লা লা উ লা লা', 'আই অ্যাম এ ডিস্কো ডান্সার', কখনও বা 'চিরদিনই তুমি যে আমার...আমরা অমরসঙ্গী', 'তুনে মারি এন্ট্রিয়া তো দিল মে বাজি ঘন্টিয়া রে টং টং টং টং'।
শুধু গান দিয়ে কী চিড়ে ভিজবে? এ প্রশ্নের উত্তর বাপ্পির কথায়, গানই আজ পর্যন্ত আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে। বলিউডেও এত বছর ধরে রমরমিয়ে চলছে। আমি তো আর সঙ্গীতের দুনিয়া থেকে অবসর নিইনি। এমনকী আমার নতুন গানগুলোই বক্সঅফিসে সুপার হিট। আমার গান দিয়ে আমি সবকিছু করতে পারি। এবার তো আমি আমার গান দিয়েই পদ্মফুল (বিজেপির নির্বাচনী চিহ্ন) ফোটাব।
সংঘাতের পথে যেতে চাইছেন না শান্তিপ্রিয় এই বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী। তাই কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম কে আক্রমণ করে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচনের মেজাজ খারাপ করতে চান না বাপ্পিদা। তাই এবার গানকেই হাতিয়ান করেছেন তিনি। বললেন, সবাইকে সম্মান করি। এমনকী তৃণমূল নেত্রীরও প্রশংসা করে বললেন বাংলায় যেটুকু ভাল হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই।
সব বিরোধীদেরই সম্মান করি, তাই কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএম কে আক্রমণ নয় : বাপ্পি লাহিড়ি
বাংলার শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন এই জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে তো এই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রচারের আচরণবিধি মানছেন না অভিযোগ তুলে বিজেপি প্রার্থী বাপ্পি লাহাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
কল্যাণবাবুর অভিযোগ ছিল, জিটি রোড আটকে ৫০০-৬০০ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। ফলে চূড়ান্ত অসুবিধায় পড়তে হয় পথচলতি সাধারণ মানুষকে।
কাউকে আক্রমণ না করলেও কারও অভিযোগের জবাব দেবেন না এমনটা যে নয় তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বছর ৬১-র এই সঙ্গীত আইকন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের উত্তরে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, মানুষ তাঁকে ভালবাসে তাই তাঁকে ঘিরে এই উন্মাদনা। বারবার এমন ভুয়া অভিযোগ তুললে দিল্লিতে দলের হাইকমান্ডই বিষয়টি সামলাবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এমনকী স্থানীয় তৃণমূলের তরফে প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থীর গান গাওয়া বন্ধ করার জন্যও আর্জি জানানো হয়েছে। যদিও বাপ্পিদার কথায়, গান জনসাধারণের সম্পত্তি। কেউ যদি গান গাইতে চায় বা শুনতে চায় তাতে অসুবিধা কোথায়?