'মুকুল রায় পার্টি কর্মী, রাজ্যে আমিই বিজেপির হেড', এ কোন ইঙ্গিত দিলীপের
মুকুল রায় প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত মুকুল রায় দলের একজন সাধারণ কর্মী মাত্র। রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনিই পশ্চিমবঙ্গে দলের প্রধান নেতা।
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদানের আগে থেকে তাঁর পদ গেল বলে নানা মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। মুকুল রায় দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি দল ছাড়ছেন বলেও গুজব রটেছিল। তবে এসব ঘটনাকে যে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিচ্ছেন না দিলীপ ঘোষ তার ফের একবার প্রমাণ দিলেন। পাশাপাশি এটাও বুঝিয়ে দিলেন যে মুকুল রায়ের জনপ্রিয়তার সামনে মেপে ব্যাটিং করবেন তিনি।
উত্তরবঙ্গে নিউ জলপাইগুড়িতে সাংবাদিকেরা মুকুল রায়কে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন দিলীপ ঘোষকে। পরবর্তী বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে মুকুলের জায়গা কোথায় হবে, ঘুরিয়ে সেই প্রশ্নও ছিস। প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত মুকুল রায় দলের একজন সাধারণ কর্মী মাত্র। রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনিই পশ্চিমবঙ্গে দলের প্রধান নেতা।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে মুকুল রায়কে দল কাজে লাগাচ্ছে জেলায় জেলায়। পরে সময় বুঝে মুকুল রায়কে দলের কোনও পদে বসানো হবে বলে জানিয়েছেন দিলীপ।
এখন ঘটনা হল, মুকুল রায়ের অভিজ্ঞতা দলের বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বের চেয়ে অনেকটা বেশি। তিনি সারা বাংলায় পরিচিত। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড হিসাবে সারা বাংলা একসময়ে চষে বেড়িয়েছেন। তাই বিজেপিকে এরাজ্যে শক্ত জমির উপরে দাঁড় করাতে গেলে মুকুলই সর্বোচ্চ পদের প্রধান দাবিদার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের দায়িত্ব মুকুলের হাতে দিলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারে বিজেপির পক্ষে।
তবে পাশাপাশি আর একটি বিষয়ও রয়েছে। প্রথমত, দিলীপ ঘোষ আরএসএসের ঘনিষ্ঠ। তাছাড়া সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে রয়েছে মুকুলের নাম। এই অবস্থায় মুকুলকে দলের দায়িত্ব দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর সেই ভেবেই কি মুকুলকে নিয়ে ধীরে চলো নীতিতে চলছে বিজেপি? বরং মুকুলের অভিজ্ঞতাকে পঞ্চায়েতের কাজে বেশি করে কাজে লাগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দিলীপের মন্তব্যে সেই জল্পনাই জোরদার হল।