কাটারির এক কোপে ‘প্রেমে’র জলাঞ্জলি, বৌদিকে ফুঁসলিয়ে ঘর বাঁধার করুণ পরিণতি
সাত বছর আগে বৌদিকে ফুঁসলিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। তারপর তাঁরা ঘর বেঁধেছিলেন একসঙ্গে। বেশ সুখের সংসারই ছিল তাঁদের। কিন্তু সাত বছর পর ফের সেই আশান্তিই বাধ সাধল জীবনে।
সাত বছর আগে বৌদিকে ফুঁসলিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। তারপর তাঁরা ঘর বেঁধেছিলেন একসঙ্গে। বেশ সুখের সংসারই ছিল তাঁদের। কিন্তু সাত বছর পর ফের সেই আশান্তিই বাধ সাধল জীবনে। প্রেমের জলাঞ্জলি হল এক কাটারির কোপে। স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হুগলির আরামবাগে।
দেবী দুর্গার বোধনের সকালে বাড়ি থেকে গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় স্ত্রীর। পাশেই অর্ধমৃত অবস্থায় পড়েছিলেন সনাতন হেমব্রম (৩৫)। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সনাতনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরামবাগ থানার পুলিশ মৃতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সকুলমণি হেমব্রম (৪০)।
কিন্তু কেন গলা কেটে সকুলমনিকে খুন করল সনাতন? কেনই বা নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন সনাতন? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসারিক অশান্তির জেরেই সলকুলমণিকে খুন করে সে। তারপর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত নেমে জানতে পারে, সনাতন ও সকুলমণি সম্পর্কে দেওর-বৌদি ছিলেন।
বছর সাতেক আগে তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করেছিলেন। থাকতে শুরু করেছিলেন আরামবাগের হরাদিত্য এলাকায়। নতুন সংসার শুরু করার পর বেশ সুখে-শান্তিতে থাকলেও কিছুদিন পর অশান্তি শুরু হয়। নিছক সাংসারিক অশান্তি নাকি এর পিছনে সম্পর্কের জটিলতা রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।