ভালোবাসার মানুষটার হাতে বিষ মেশানো মদ খেয়ে জুড়াল ‘জ্বালা’, নিষ্ঠুর পরিণতি
ভালোবাসার টানে যে মানুষটার হাত ধরে সারাজীবন একসঙ্গে চলার স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন, সেই মানুষটাই কি না এত নিষ্ঠুর হয়ে উঠল!
ভালোবাসার টানে যে মানুষটার হাত ধরে সারাজীবন একসঙ্গে চলার স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন, সেই মানুষটাই কি না এত নিষ্ঠুর হয়ে উঠল! সে-ই কি না মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খুন করল স্ত্রীকে। তারপর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালাল গুণধর স্বামী। তার আগে বাপের বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিল, দেবপ্রিয়ার লাশ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সোনারপুরের দেবপ্রিয়া ভালোবাসার দাম চুকালেন নিজের জীবন দিয়ে। ছোট্ট দুটো সন্তান হয়ে গেল মাতৃহারা। বিয়ের পর কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিল দেবপ্রিয়া। তারপরই কেমন যেন বদলে যেতে থাকে চিত্ত। শেষমেশ স্বামীর ষড়যন্ত্রে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন স্ত্রী।
কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকেই অত্যাচার শুরু হয়েছিল দেবপ্রিয়ার উপর। বছর খানেক আগে তাঁকে বাপের বাড়ি দিয়ে এসেছিল চিত্ত। পরে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে। শুরু হয় পণের জন্য দাবি। আজ গাড়ি তো কাল টাকা। দেবপ্রিয়া বাড়ি ফিরে আসার পর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দেবপ্রিয়া ভেবেছিল- এবার নিশ্চয় অত্যাচার কমবে। সুখ আসবে সংসারে।
কিন্তু হিতে বিপরীত হল। আরও খারাপ হয়ে গেল সম্পর্ক। বেড়ে গেল অত্যাচারের মাত্রা। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যেতে চেয়েছিলেন দেবপ্রিয়া। কিন্তু তা জানতে পেরে আরও খেপে যান চিত্ত। চিত্তর বাড়ির লোকও দেবপ্রিয়ার উপর অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। তারপর চিত্ত মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেবপ্রিয়াকে খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
দেবপ্রিয়াকে সেই অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। তারপর সেখান থেকে বেপাত্তা হয়ে যান। আর দেবপ্রিয়ার বাপের বাড়িতে ফোন করে লাশ নিয়ে যেতে বলেন হাসপাতালের বেড থেকে। দেবপ্রিয়ার মা-ভাই বিশ্বাসই করতে পারেনি এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। চিত্ত ও চিত্তর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।