মনুয়াকাণ্ডের ছায়া হাওড়াতেও! প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নৃশংস খুন স্বামীকে
উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে মনুয়াকাণ্ডের কথা মনে আছে, তারপর জলপাইগুড়িতে উত্তম মহন্ন খুন! একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি হাওড়ার ব্যাঁটরায়।
এবার হাওড়াতেও মনুয়াকাণ্ডের ছায়া। উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে খুন হতে হয়েছিল অনুপম সিংহকে। তারপর জলপাইগুড়িতে উত্তম মহন্ত খুন হয়েছিলেন স্ত্রী ও তার প্রেমিকের কারসাজিতে। এবার হাওড়ার ব্যাঁটরায় প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রতন নাথ (৪৪)। তাঁর মাথায় বেলচা দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের তির রাজীব মণ্ডল নামে এক যুবকের দিকে। অভিযুক্ত রাজীবকে জেরা করেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষ মদত ছিল রতনের স্ত্রী শর্মিষ্ঠারও। শর্মিষ্ঠার সঙ্গে রাজীবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। উভয়কেই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রতন ও শর্মিষ্ঠার ২০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক। তার মাঝে হঠাৎ ঢুকে পড়ে রাজীব। কুকুরের প্রশিক্ষক রাজীব। সেই সূত্রেই রতনের বাড়িতে তার আসা-যাওয়া ছিল। রাজীবের সঙ্গে রতনের স্ত্রীর শর্মিষ্ঠার একটা সম্পর্কও গড়ে ওঠে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। শর্মিষ্ঠার শাশুড়ি তা নিয়ে আপত্তিও করেছিল বহুবার। শেষ পর্যন্ত পথের কাঁটা স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই খুনের পরিকল্পনা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার রাতে রতন ও রাজীবের মধ্যে বচসা বাধে। সেই বচসার মূল কারণ ছিল রতেনর স্ত্রী শর্মিষ্ঠার সঙ্গে রাজীবের অবৈধ সম্পর্ক। রতন তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহও করত। এরপর রাজীব বাড়ি ফিরে গেলে শর্মিষ্ঠার সঙ্গে বচসা বাধে রতনের। শর্মিষ্ঠাকে রতন মারধর করে বলেও অভিযোগ। রাতেই ব্যাঁটরা থানায় অভিযোগ জানাতে যায় শর্মিষ্ঠা।
এরপর বাড়িতে পুলিশ আসে। রতনকে বুঝিয়েও যায়। খানিক বাদেই শর্মিষ্ঠা পুলিশকে জানায়, তাঁর স্বামীর রক্তাক্ত অবস্থায় গ্যারাজে পড়ে রয়েছে। তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর এই ঘটনায় রাজীব মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় শর্মিষ্ঠাকেও।