পরকীয়ায় মজে স্ত্রী-খুনের জমজমাট ‘চিত্রনাট্য’! ১০ বছর পর যাবজ্জীবন স্বামী ও প্রেমিকার
ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য! শুধু সেই চিত্রনাট্য অনুযায়ী ঘটনাপ্রবাহকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। একেবারে ছক কষে পরকীয়ার কাঁটা স্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছিল স্বামী ও তার প্রেমিকা।
ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য! শুধু সেই চিত্রনাট্য অনুযায়ী ঘটনাপ্রবাহকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। একেবারে ছক কষে পরকীয়ার কাঁটা স্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছিল স্বামী ও তার প্রেমিকা। পরকীয়ার জেরে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত হল তারা। জলপাইগুড়ি আদালত উভয়কেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল।
২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে-তেই ঘটেছিল নির্মম খুনের ঘটনা। নিখুঁত ছক কষে পরকীয়া প্রেমের কাঁটা স্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছিল স্বামী প্রশান্ত সাহু। আইসিডিএসের প্রকল্প আধিকারিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন আইসিডিএসেরই এক কর্মী দীপা মল্লিক। দীপাই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের কিং-পিন।
ওইদিন জলপাইগুড়ির দিশারী মোড়ে নিজেরে বাড়ি থেকে মিতা সাহুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মিতাও আইসিডিএস কর্মী। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে স্বামীর পরকীয়ার ঘটনা। এরপর প্রশান্ত সাহু ও তার প্রেমিকা দীপাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
দীপাকে জেরা করে পুলিশি জানতে পারে, শিলিগুড়ি থেকে দীপা বাসে করে জলপাইগুড়ি আসে আগের দিন সন্ধ্যায়। তারপর প্রশান্ত বাড়িতে যায়। সেইসময় প্রশান্ত মেয়েকে নিয়ে গানের শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েছিল। দীপা বাড়িতে গিয়ে মিতার মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করে। তারপর বাথরুমে সেই হাতুড়ি রেখে, ঘর লণ্ডভণ্ড করে পালিয়ে যায়। এরপর প্রশান্ত বাড়ি ফিরে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। সম্পূর্ণ ঘটনা আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল বলে জেরায় জানে পুলিশ।
[আরও পড়ুন:দিদিমণি, আমি পড়তে চাই! মেয়ের এক 'বুদ্ধি'র জোরেই নাবালিকা বিয়ের ছক বানচাল]
জলপাইগুড়ি আদালতে বিচারপক্রিয়া শুরু হয় পর পরই। প্রায় ১০ বছর ধরে চলে বিচারপ্রক্রিয়া। ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করার পর অবশেষে জলপাইগুড়ি ফাস্টট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক সৌগত রায়চৌধুরী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০বি ধারা দোষীসাব্যস্ত করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
[আরও পড়ুন:বিষমদ কাণ্ডে এবার পুলিশের জালে মূল পাণ্ডা গণেশ হালদার]