স্বামী কার? দুই সতীনের লঙ্কাকাণ্ডের জেরে শেষপর্যন্ত স্বামী বাছলেন আত্মহননের পথ
স্বামীর অধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল দুই সতীনের। দ্বন্দ্ব উত্তরাধিকার নিয়েও। শেষমেশ দুই সতীনের লঙ্কাকাণ্ডের জেরে প্রাণটাই চলে গেল স্বামীর।
স্বামীর অধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল দুই সতীনের। দ্বন্দ্ব উত্তরাধিকার নিয়েও। শেষমেশ দুই সতীনের লঙ্কাকাণ্ডের জেরে প্রাণটাই চলে গেল স্বামীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোলে। এক সতীন চড়াও হয়েছিল অন্য সতীনের উপর। তা নিয়ে গ্রামে হুলুস্থূল পড়ে যায়। শেষপর্যন্ত অভিমানে আত্মহননের পথ বেছে নেন স্বামী। কীটনাশক খেয়ে স্বামী আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ।
সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্বামী। তাঁর দেহ উদ্ধার করে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে স্বামীর মৃত্যুর পরও দুই সতীনের দ্বন্দ্ব দূর হয়নি। তাঁরা উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে গাজোল থানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজেশচন্দ্র প্রসাদ (৪৮)। তাঁর বাডড়ি গাজোলের পূর্ব কলেজপাড়া। তিনি স্থানীয় বরিজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। ছিলেন গম্ভীরা শিল্পী। তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না। এরর বছর দুয়েক আগে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কলেজপাড়ায় থাকতেন। প্রথম স্ত্রী থাকতেন পাশের গ্রামে। এরপরই স্বামীর অধিকার ও সম্পত্তির ভাগবণ্টন নিয়ে দুই সতীনের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এই বিবাদের মাধে পড়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন শিক্ষক স্বামী। দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামীর নামে জমি তাঁর সতীন দুর্গা প্রসাদ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। দুর্গাদেবী এদিন চড়াও হন কলেজপাড়ার বাড়িতে।
পাল্টা অভিযোগ করে দুর্গা বলেন, আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী পিংকি জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সাংসারিক অশান্তির জেরেই এই আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিশ।