পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল স্ত্রী! সন্দেহের বশে স্বামীর ‘কীর্তি’ জানলে আঁতকে উঠবেন
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। তাই স্ত্রীকে নিজে হাতে শাস্তি দিলেন স্বামী। নিজেও নিলেন শাস্তি। স্ত্রীকে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে নিজে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী।
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। তাই স্ত্রীকে নিজে হাতে শাস্তি দিলেন স্বামী। নিজেও নিলেন শাস্তি। স্ত্রীকে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে নিজে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী। নিছক সন্দেহের বশে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে গেল বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। পরকীয়া সন্দেহের নির্মম পরিণতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে।
সাইঁথিয়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বড় কালীতলার বপাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদ বাউড়ি। স্ত্রী রিনা ও এর সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখের সংসার ছিল তাঁদের। এরই মধ্যে শ্যামাপ্রসাদের মনে সন্দেহ দৃঢ় হয়, স্ত্রী রিনার সম্পর্ক রয়েছে পরপুরুষের সঙ্গে। এই পরকীয়ার সন্দেহই তাঁকে কুরে কুরে খেত। তা শেষ করে দিল নিজে হাতে।
শেষপর্যন্ত পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহই কাল হল। অন্ধকার নেমে এল শ্যামাপ্রসাদ ও রিনার জীবনে। এক লহমায় শেষ হয়ে গেল জীবন। বাপের বাড়ির এলাকাতেই কারও সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত শ্যামাপ্রসাদ। সম্প্রতি বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন রিনা। তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে।
[আরও পড়ুন:পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল স্ত্রী! সন্দেহের বশে স্বামীর 'কীর্তি' জানলে আঁতকে উঠবেন]
সেই সন্দেহের বশেই শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে যায় শ্যামাপ্রসাদ। হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীর উপর চড়াও হয়। ভোজালি গিয়ে রিনাকে কোপায় তাঁর স্বামী। এরপরই শ্বশুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে মযুরাক্ষী ব্রিজের কাছে রেল লাইনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। এদিকে, স্ত্রী রিনাকে সাঁইখিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।