বিজেপিতে মোহভঙ্গ তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীর! নেত্রী মমতার ডাকে ঘরওয়াপসির তোড়জোর সদলবদলে
বিজেপিতে ফের বিরাট ভাঙন, মমতার ডাকে প্রাক্তন মন্ত্রী শেষে ফিরে আসছেন তৃণমূলেই
ঘটা করে তাঁকে দলে নিয়েছিল বিজেপি শিবির। কিন্তু ফের রাজনৈতিক জার্সি বদল করে প্রাক্তেন মন্ত্রী ফিরে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ভুল স্বীকার করেই দলে ফিরছেন তিনি। আগামী ৬ অগাস্ট হেভিওয়েট নেতাকে স্বাগত জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস। যোগদানের আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন রাজনীতি করব দিদিই আমার নেত্রী।
চারবার রং বদল বছর আটেকের মধ্যে
বছর চারেক আগে তিনি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তৃণমূল থেকে। তার আগে খুইয়েছিলেন মন্ত্রিত্ব। এ হেন হুমায়ুন কবীর চারবার রং বদলাতে চলেছেন বছর আটেকের মধ্যে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসে মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। তারপর তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে গেলেও বেশিদিন স্থায়ী হননি, ২০১৯-এর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন আবার তিনি ফিরছেন তৃণমূলে।
ভুল করে বিজেপিতে, ফিরছেন তৃণমূলে
হুমায়ুনের যোগদানের কথা ছিল ৩ অগাস্ট অর্থাৎ সোমবার। কিন্তু তাঁর দলবদল তিনদিন পিছিয়ে গিয়েছে। ৬ অগাস্ট তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। এ প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন, তৃণমূল ছেড়ে ভুল করেছিলাম। সেই ভুল শুধরে নিয়ে তৃণমূলেই ফিরছি। যত দিন রাজনীতি করব দিদিই আমার নেত্রী। তাঁর নির্দেশেই কাজ করব।
বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে, স্বাগত হুমায়ুন
তিনি জানান, অনুগামীদের নিয়ে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। জেলা সভাপতি আবু তাহের খান তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। অধীর চৌধুরীর ডানহাত বলে পরিচিত ছিলেন হুমায়ুন। কিন্তু পরিবর্তনের সরকার আসার পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে মন্ত্রীও করা হয়। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসতে পারেননি।
হুমায়ুনের প্রভাব এখনও বিদ্যমান
২০১৫ সালে তিনি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন। শুভেন্দু অধিকারী তখন মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক। এখন ওই পদ উঠে যাওয়ার পর জেলা সভাপতি আর কো-অর্ডিনেটরদের হাত ধরে তিনি ফের তৃণমূলে ফিরে আসছেন। এলাকায় তাঁর প্রভাব এখনও বিদ্যমান। কেননা তৃণমূলে বহিষ্কৃত হয়েও নির্দল প্রার্থী হিসেবে অধীর চৌধুরীর কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে তিনি মাত্র চার হাজারের কিছু বেশে ভোটে হেরেছিলেন।
দিদির নেতৃত্বে ২০২১ নির্বাচন লড়তে চান
এরপর অধীরের ডাকে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন কংগ্রেসে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পর ফের কংগ্রেস ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু এনআরসি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তীব্র মতবিরোধে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবার তিনি তৃণমূলে ফিরে এসে দিদির নেতৃত্বে ২০২১ নির্বাচন লড়তে চাইছেন।
বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন ধিক ধিক জ্বলছে, রাশ টানতে অর্জুনকে নিয়ে মস্ত চাল দিলীপের