বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেও ব্রাত্যের তালিকায়, খাসতালুকে কোণঠাসা ‘হেভিওয়েট’
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেও ব্রাত্যের তালিকায়, খাসতালুকে কোণঠাসা ‘হেভিওয়েট’
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেও কপাল খুলল না। তৃণমূলেও ব্রাত্য রয়ে গেলেন হুমায়ুন কবীর। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও তিনি কর্মিসভায় ডাক পেলেন না। যার ফলে তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন ফের দানা বেঁধেছে। তাঁর নিজের কেন্দ্রেই কর্মিসভায় ডাক না পেয়ে হতাশ হুমায়ুন। কেন হুমায়ুন কবীর আমন্ত্রিত হলেন না, তা নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বারবার দল পরিবর্তনেই ব্রাত্য
রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্র এলকায় তৃণমূল সম্প্রতি কর্মিসভার আয়োজন করে। প্রতি বুথ থেকেই এই সভায় ডাকা হয়েছিল কর্মীদের। সেখানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা হুমায়ুন কবীর ডাক পেলেন না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে বারবার দল পরিবর্তনই এই ব্রাত্য রাখার কারণ। হুমায়ুন তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁকে সবাই এখনও সেভাবে মেনে নিতে পারেননি।
অন্তর্দ্বন্দ্বই কি দূরে রাখল হুমায়ুনকে
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই বিভাজন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকেই সামনে এনে দেবে। তাহল কেন হুমায়ুন কবীরকে আমন্ত্রণ জানানো হল না। এ প্রসঙ্গে বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, বড় নেতাদের কাউকেই ডাকা হয়নি। এতে সমস্যার কী আছে। আর রবিউলের পাল্টা হুমায়ুন জানিয়েছেন, রবিউল শুধু নিজের লোকদেরই ডেকেছেন কর্মিসভায়।
রথী-মহারথী কালিদাস বলে কটাক্ষ
এদিনের কর্মিসভায় হুমায়ুন কবীরকে রথী-মহারথী কালিদাস বলে কটাক্ষ করে বেলডাঙার তৃণমূল নেতৃত্ব। তার পাল্টা উত্তরও দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, আমি দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। কিন্তু আমার বিধানসভা এলাকাতেই আমাকে কর্মিসভায় ডাকা হল না, বাইরে রাখা হল, এটা খারাপই হল।
গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ভরাডুবি হবে না তো তৃণমূল!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জেলায় জেলায় যদি এহেন সমস্যা হয়, তবে সমস্যা তো মিটবেই না, উল্টে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ভরাডুবি হতে হবে। এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতে আবু তাহের বলেন, কেন তাঁর নিজের এলাকায় হুমায়ুন ব্রাত্য রইলেন, তা খোঁজখবর নিয়ে দেখব। তবে হুমায়ুন তো ডাক পাচ্ছেন বিভিন্ন সভায়।
দুর্গাপুজোর সমস্ত খবর, ছবি, ভিডিও দেখুন এক ক্লিকে
'বাড়িতে রেস্ট নিন', করোনা মুক্ত দিলীপকে ফোন করে পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী মমতার