বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের প্রাক্তনমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেতে কলকাতায় দলবদল
পঞ্চায়েতে গড় হারিয়েছে কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের নবাব-গড়ের কর্তৃত্ব এখন তৃণমূলের হাতে। অধীর মিথ খতম। এই অবস্থায় তাঁর দলেই প্রশ্ন উঠে পড়ল লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল কথাটা। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রাক্তনমন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। ভোট গণনার দিনই দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির কলকাতা অফিসে এসে তেরঙ্গা ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে নেবেন তিনি।
কিন্তু কেন দল ছাড়ছেন হুমায়ুন কবীর? ঘনিষ্ঠ মহলে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই তিনি দল ছাড়ছেন। কংগ্রেসের মানসিকতা নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করার মতো মানসিক শক্তিই নেই কংগ্রেসের- এমনটাই অভিযোগ করেন অধীর চৌধুরীর ডানহাত এই কংগ্রেস নেতা।
২০১১ সালে অধীর চৌধুরীর সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূলে পাড়ি দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। তারপর ফের তিনি ফিরে আসেন অধীরের ছত্রছায়ায়। আবারও তিনি তিনি দলবদল করতে চলেছেন। এবার তাঁর গন্তব্য পদ্মশিবির। উল্লেখ্য, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান হুমায়ুন। কিন্তু ভোটের দিন সকালেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার হুমায়ুন কবীর জানান, পুলিশ ও শাসক দলের গুন্ডামিতে কংগ্রেস প্রার্থী ও কর্মীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন। শাসকদল তাঁদের ভোট করতে দেয়নি। সে কারণে ভোটের দিন তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস লড়াই করে জেতার মানসিকতা দেখাতে পারেনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তিনি দলবদল করছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সাল থেকে রাজনীতিতে আছেন বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লকের শক্তিপুরের হুমায়ুন কবীর। ৩০ বছর ধরে কংগ্রেস করছেন তিনি। ২০১১ সালে রেজিনগর বিধানসভা থেকে কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হন হুমায়ুন। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে তৃণমূলের মন্ত্রী হন। মাত্র ৬ মাস মন্ত্রী থাকার পর উপনির্বাচনে রেজিনগরে পরাজিত হন হুমায়ুন। এর পরই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে শোকজ করে শাসক দল। তারপর ফের কংগ্রেসে ফিরে আসেন তিনি। এবার তিনি বিজেপির জার্সি পরতে চলেছেন।