শীতের মরশুমে বিকোরের পেল্লাই বেগুনই বড় আকর্ষণ রায়গঞ্জের
শীতের মরশুমে বিকোরের পেল্লাই বেগুনই বড় আকর্ষণ রায়গঞ্জের
শীতের মরশুমে রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছের সেরা সবজি বিকোরের বেগুন। পেল্লাই সাইজের বিকোরের বেগুন উৎকৃষ্ট মানের। এখন রায়গঞ্জের বাজারে রমরমিয়ে বিকোচ্ছে এই বেগুন। আর এই বেগুন একমাত্র রায়গঞ্জ থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে বিকোর গ্রামেই উৎপাদন হয়ে থাকে। এই শীতের মরশুমে চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দাম যাই হোক না কেন পাঁচশো গ্রাম থেকে দু'কেজি ওজনের পেল্লাই সাইজের সুদৃশ্য বেগুন খেতে রায়গঞ্জের মানুষ কোনও কার্পণ্য করেন না। শুধু রায়গঞ্জের মানুষই নয় রায়গঞ্জের বিকোরের এই বেগুন কলকাতা শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে পাড়ি দিচ্ছে ভিনরাজ্যেও।
শোনা যায় স্বাদের দিক দিয়ে নাকি বিকোরের বেগুন অন্যতম উৎকোচ হিসেবে বহুল প্রচলিত। বাইরে থাকা আত্মীয়স্বজনদের এই শীতের মরশুমে রায়গঞ্জের এই বেগুন পাঠানো হয়ে থাকে। প্রচলিত রয়েছে যে এই বিকোরের বেগুন খেয়ে অনেকেরই অনায়াসে দূরুহ কাজ হাসিল হয়েছে।
রায়গঞ্জ শহর থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে গৌরী গ্রামপঞ্চায়েতের দুপদুয়ার, অনন্তপুর, ভিটিয়ার আর নাগর নদীর ওপাড়ে বিহারের বিকোর গ্রামগুলি রয়েছে সেইসব গ্রামের মাটিতেই জন্মায় খ্যাতনামা বেগুন। এখানকার চাষীদের কাছে প্রধান অর্থকরী ফসল বেগুনের চাষ। পাঁচশো গ্রাম থেকে দু'কিলো ওজনের বিশালাকার বেগুন হয়। এখন বিকোর,অনন্তপুর, দুপদুয়ার, ভিটিয়ার গ্রামের মাঠে মাঠে। শীতের মরশুম শুরু হতেই রায়গঞ্জের বাজারে চলে আসে বিকোরের স্বাদে ভরা বেগুন।
প্রথম দিকে দামটা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকলেও চাহিদার সাথে সাথে বাজারে এর আমদানি বেশি হলে তা কেনা মানুষের সাধ্যের মধ্যেই চলে আসে। মরশুমের প্রথম দিকে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও বর্তমানে বাজারে এর দাম প্রতি কেজি ত্রিশ টাকায় চলে এসেছে। বছরের মাত্র দুটো মাস ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসেই বাজারে দেখা মেলে এই বেগুনের। বাজারে প্রথম দেখাতেই ক্রেতারা হুমরি খেয়ে পড়ে কেনার জন্য। বর্তমানে এই বিকোরের বেগুনের চাষ করে লাভবানও হন বিকোরের বেগুন চাষীরা। তাঁরাও সারাটা বছর বহু যত্নে করে থাকে এই বেগুন গাছের চারাকে। শীত পেরিয়ে জেতেই ছোট্ট ছোট্ট গাছে ঝুলবে বড় আকারের বেগুন যা রসনাতৃপ্ত করবে খাদ্যরসিকদের। আর কিছুটা বাড়তি আয়ের মুখ দেখেন বিকোর, দুপদুয়ার, ভিটিয়ার, অনন্তপুর গ্রামের এই বেগুন চাষ করা হয়।