পাচার বাড়ছে সীমান্তবর্তী জেলায়, পাচারে সোনা গাঁজা মাদকদ্রব্যকে টেক্কা দিচ্ছে বন্য প্রাণ ও প্রাণী
নারী পাচার, সোনা পাচার, গরু পাচার ও মাদকদ্রব্য পাচারকে টেক্কা দিচ্ছে বন্যপ্রাণী পাচার। কঠোর নিরাপত্তার সত্ত্বেও দিনের পর দিন বন্যপ্রাণী পাচার বেড়েই চলেছে সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনায়।
নারী পাচার, সোনা পাচার, গরু পাচার ও মাদকদ্রব্য পাচারকে টেক্কা দিচ্ছে বন্যপ্রাণী পাচার। কঠোর নিরাপত্তার সত্ত্বেও দিনের পর দিন বন্যপ্রাণী পাচার বেড়েই চলেছে সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর 24 পরগনায়।এই জেলায় একদিকে বসিরহাট অন্যদিকে বনগাঁ সীমান্ত যা স্বর্গ হয়ে উঠেছে পাচারকারীদের কাছে। কঠোর নিরাপত্তার সত্ত্বেও পাচার রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন । প্রশাসনিক নজরদারির চোখ এড়িয়ে পাচার হচ্ছে অবলুপ্ত সম্পদ ও বন্যপ্রাণ সম্পদ। ধরা পড়ছে ঠিকই কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাচারকারীদের পাচার রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন।
গত শুক্রবার গভীর রাতে বেলঘড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার হয় 3 পাচার কারি। এক সিংহ শাবক ও তিন বিরল প্রজাতির হনুমান পাচার করার অপরাধে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার হয়।
জানা যায়, পরিকল্পনা মাফিক পাচার করার জন্য বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল সিংহ শাবক ও বিরল প্রজাতির বানরগুলিকে। এর পর সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হবে মুম্বই। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল পাচারকারীরা। উদ্ধার হল এক সিংহ শাবক সহ বিরল প্রজাতির ৩টি বানরের। যার বাজার মূল্য কয়েক্ কোটি। দীর্ঘ দিন ধরে এই পাছার চললেও হদিশ মেলেনি পশু পাচার চক্রের। শনিবার বেলঘোড়িয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার করা হয় সিংহ শাবক ও বানর।
দুদিন পেরোতেই ফের বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ উদ্ধার করলো বনদপ্তর। গ্রেফতার দুই পাচার কারি। গ্রেফতার করলো ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ও বন দফতরের বারাসাত ডিভিশনের অফিসাররা।
সূত্রের খবর এই দুই তদন্ত কারি সংস্থার কাছে খবর ছিল যে আজ সকালে একটি টাটা সুমো করে ওড়িশা থেকে বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ আসছে ।এবং এটা বারাসাত এর সুভাষ পল্লীর গৌর প্রামানিক এর বাড়িতে আনলোড হবে।সেই মতো তারা ভোর থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল ।কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে গেলে গাড়ি না আসলে সন্দেহ হয়।এর পর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে গৌর এর বাড়িতে গাড়ি ঢুকে গেছে।তখনই তারা গৌর এর বাড়িতে রেড করে। তার আগেই বেশিরভাগ কচ্ছপ ডিস্ট্রিবিউশন হয়ে গেছে।সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৬৭ টি কচ্ছপ উদ্ধার হয় ।আর গৌর প্রামানিক ও সঞ্জয় নামে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ধৃতদের বারাসাত কোর্টে তোলা হবে।
অন্যদিকে সিংহ শাবক ও হনুমান পাচারের পাচারকারীদের পরদিনই নিম্ন আদালত জামিন দিয়ে দেয়। জামিনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বনদপ্তর। বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।
শুধুমাত্র সিংহ বানর বা কচ্ছপ ই নয় রাতের অন্ধকারে ভিন রাজ্যে পাচার হয়ে যাচ্ছে একাধিক বন্যপ্রাণী ও লুপ্তপ্রায় বনজ সম্পদ পাচার হচ্ছে দামী কাঠ হাতির দাঁত পশুর ছাল ও। সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন বন কর্তারা।