সন্ধ্যায় রাজভবনে কালো ধোঁয়া ঘিরেও ছড়াল আতঙ্ক, বজবজ জুটমিলেও বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
কলকাতার বুকে বিধ্বংসী আগুন। বজবজের জুটমিলে একদিকে আগুন। অন্যদিকে রাজভবনেও ধোঁয়া ঘিরে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল।
বজবজ জুটমিলে বিধ্বংসী আগুন! মিলের মধ্যে মজুত থাকা পাটে বিধ্বংসী এই আগুন লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। পরে আরও কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় বলে জানা যাচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
তবে কীভাবে বিধ্বংসী এই আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও দমকলের দাবি, কোনও ভাবে আগুনের ফুল্কি থেকেও ভয়াবহ এই অবস্থা হতে পারে। তবে আগুন নেভানোটাই এখন বড়ফ চ্যালেঞ্জ বলে জানাচ্ছেন দমকল আধিকারিকরা। কারণ মিলজুড়ে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত করা ছিল। আর সেই কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মিলে আগুন নেভানোর জন্যে কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলেও দাবি দমকলের।
তবে ঘটনার সময় মিলের মধ্যে কেউ ছিল না বলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। তবে আগুন নেভানোর কাজে গিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয় বলে জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পাটে আগুন লাগার বিষয়টি প্রথমে মিলের কয়েকজন দেখতে পান। এরপরেই স্থানীয় দমকলকে খবর দেওয়া হয়। আর এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। এরপর আরও দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় বলে খবর। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে দ্রুত গোটা মিলের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুরো দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বলে খবর। কালো ধোঁয়াতে চারপাশ ঢেকে যায়।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই আসে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা।
রাজভবনে অগ্নিকাণ্ড
পাশাপাশি এদিন রাজভবনেও ছোট একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। রাজ্যপাল যখন বৈঠক করছিলেন সেই সময়ে রাজভবনে তিন তলা কালো ধোঁয়াতে ভরে যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। তবে বড়সড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। মুহূর্তে পরিস্থিতি নিউয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়। শর্টসার্কিট থেকে আগুন বলে অনুমান পুলিশের। তবে গোটা রাজভবনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশের আধকারিকরা।
তবে সুস্থ রয়েছেন রাজ্যপাল।