বীরভূমে তল্লাশিতে উদ্ধার প্রচুর জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর
বীরভূম জেলার মুরারই থানার পলশা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায় যে প্রায় ছ হাজার জিলেটিন স্টিক ও আড়াই হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। একটি পিক আপ ভ্যান করে ওই সব বিস্কোরক নিয়ে আসা হচ্ছিল। ওই পিক আপ ভ্যানের চালক আলম সেখ কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমের বাড়ি বীরভূম জেলার মল্লারপুর এলাকায়।

যে জায়গায় এই সব বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে সেটি বীরভূম জেলা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য সীমান্তে। একটি গাড়িতে করে ওই সব বিস্কোরক নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে খবর পাওয়ার পর মুরারই থেকে বাঁশলৈ রাস্তায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। সেই সময়ে পলশা মোড়ে ওই গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ওই সব বিস্কোরক উদ্ধার করা হয়।
কোথা থেকে ও কী উদ্দেশ্যেওই সব বিস্কোরক নিয়ে আসা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্যজিত্ বরুয়া।
পুলিশ জানায় যে গত বছরও মুরারই থানার এই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি ভাবে নিয়ে আসা জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া রামপুরহাট ও নলহাটি এলাকা থেকেও প্রচুর পরিমাণে জিলেটিন স্টিক , ডিটোনেটর এবং অ্যামোনিয়া নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়।
এমনিতেই বীরভূম জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায়ই উদ্ধার করা হয় বোমা ও বিস্কোরক। আগের দিনে ই বীরভূম জেলার কাঁকরতলা থানার এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।

একে নিয়মিত ভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার, তার ওপর এই ধরনের বিস্কোরক উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা, এমনকি সাধারণ মানুষও।
এই জেলার মহম্মদবাজার, রামপুরহাট, নলহাটি ও মুরারই থানার এলাকায় অনেক পাথর খাদান আছে। সেখানে এই সব জিততে স্টিক ও ডিটোনেটর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বেশির ভাগ পাথর খাদান বন্ধ। তবে বেশ কিছু খাদান চলছে বেআইনি ভাবে বলেও অভিযোগ। বেশির ভাগ পাথর খাদান বন্ধ থাকলেও এত পরিমাণে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর কেন আনা হচ্ছে ও এর পেছনে কী কারণ আছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।