‘সবুজ’ হল হাওড়া স্টেশন! নববর্ষে ‘পয়লা’ নম্বরের মর্যাদায় মুকুটে নয়া পালক
নববর্ষে হাওড়া স্টেশনের মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক। দেশের মধ্যে প্রথম গ্রিন স্টেশনের সম্মান পেল হাওড়া স্টেশন। পরিবেশবান্ধব স্টেশন হিসেবে হাওড়া বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হল।
নববর্ষে হাওড়া স্টেশনের মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক। দেশের মধ্যে প্রথম গ্রিন স্টেশনের সম্মান পেল হাওড়া স্টেশন। পরিবেশবান্ধব স্টেশন হিসেবে হাওড়া বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হল। বাংলা নববর্যের পয়লায় অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল ও সিআইআই এই বিরল সম্মান তুলে দেয় হাওড়া স্টেশনের অধিকর্তার হাতে।
আগেই হেরিটেজ তকমা জুটেছিল হাওড়ার। ব্রিটিশ আমলে তৈরি বিল্ডিং হাওড়াকে এনে দিয়েছিল হেরিটেজ তকমা। আর এবার স্টেশনকে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় আনা এবং হাওড়া স্টেশনকে ঘিরে পরিবেশবান্ধব পরিবেশ হাওড়াকে গ্রিন স্টেশনের মর্যাদা এনে দিল। আবার হাওড়া স্টেশন সেই মর্যাদা অধিষ্ঠিত হল পয়লা বৈশাখের পুণ্যদিনে। সেই কারণেই এই সম্মান আরও তাৎপর্যপূর্ণ।
১৮৫৪ সালে হাওড়া স্টেশন চালু হয়েছিল। অর্থাৎ ১৬৪ বছর আগে চালু এই হাওড়া স্টেশন দেশের সবথেকে বৃহত্তম স্টেশন হিসেবে স্বীকৃত। ২৩টি প্ল্যাটফর্ম সমন্বিত এই স্টেশনে বৈদ্যুতিকরণ হয় ১৯৫৪ সালে। এখন আবার এই স্টেশনে লেগেছে সবুদজ বিদ্যুতের স্পর্শ। আর শুরু হয়েছে সবুজায়ন। তারই ভিত্তিতে এই নয়া মুকুট উঠল হাওড়া স্টেশনের মাথায়।
গত আগস্ট থেকে 'সবুজায়ন'-এর পথে হাঁটতে শুরু করেছিল হাওড়া স্টেশন। হাওড়া স্টেশনকে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় আনতে নয়া এই পরিকল্পনা করে রেলমন্ত্রক। তিনমাসের মধ্যেই স্টেশনের ছাদে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসানোর কাজ শুরু হয়। প্যানেল বসানো হবে ২৩টি প্ল্যাটফর্মের ছাদে। এই প্রকল্প থেকে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
[আরও পড়ুন:সূর্য থেকে বিদ্যুৎ নেবে হাওড়া স্টেশন, বিস্তারিত জানুন]
এর ফলে ৬০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা মিটছে হাওড়া স্টেশনের। দেশের দ্বিতীয় সুপ্রাচীন স্টেশন এই হাওড়া। ঐতিহ্যের এই হাওড়া স্টেশন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় আসায় দিনের বেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা অনেকাংশেই মিটে যাবে। গঙ্গাপারের হাওড়া স্টেশন থেকে প্রতিদিন ২৯৩টি ট্রেন যাতায়াত করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দেশের মধ্যে হাওড়া জংশনে সবথেকে বেশি ট্রেনের চাপ। সবথেকে বেশি যাত্রী এই হাওড়া স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করে। সেই নিরিখে নতুন এই মর্যাদা হাওড়া স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রভূত সম্মানের।