তৃণমূলের একাধিক নেতার অনুপস্থিতির মাঝে বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে জিতেন্দ্রর স্টান্স কী! মুখ খুললেন বিধায়ক
বিধানসভা নিয়ে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে রীতিমত হুইপ জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে কৃষি আইনের বিরোধিতা নিয়ে যেন সকলেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। এমতাবস্থায় তৃণমূলের ৪ বিধায়ককে বুধবার অধিবেশনে দেখা যায়নি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া,প্রবীর ঘোষাল ও ল৭্মীরতন শুক্লারা ছিলেন গড়হাজির। সেই জায়গা থেকে রাজ্য রাজনীতির চর্চায় থাকা জিতেন্দ্র তিওয়ারি কী বলছেন দেখা যাক।

আসানসোল ফেরার আগে কোন পরিকল্পনা?
এক নামী সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন তিনি বৃহস্পতিবাররের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দিয়েই তবেই আসানসোল ফিরবেন। এক্ষেত্রে বুধবার জিতেন্দ্র একেবারে যেন ছিলেন তৃণমূলের বাধ্য ছাত্রের মতো! পালন করেছেন দিদির দলের নির্দেশ।

'এখনও দলের সদস্য'
কাল রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। রয়েছে কলীঘাটে গিয়ে মন্দিরে পুজো দেওয়ার কর্মসূচি। এমন অবস্থায় শুভেন্দুর দাবি ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে ধামাকা হতে পারে! তৃণমূল ছেড়ে বহু নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। জল্পনার পারদ বহু জায়গায় রয়েছে.। অন্যদিকে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি সাফ জানিয়েছেন,
' স্বেচ্ছায় দলের জেলা সভাপতির পদ ছেড়েছিলাম। এখনও দলের সদস্য। তাই সেভাবেই কাজ করে যাব।'

জিতেন্দ্র পর্ব ও তৃণমূল
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে বেসপরো হতে শুরু করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ছাড়তে থাকেন দলের একের পর এক পদ। পরে অবশ্য অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়েই তিনি সাফ জানান যে দলের সঙ্গে তিনি আছেন। পরে যদিও 'রাজনীতিতে ফুলস্টপ বে কিছু হয়না'র মতো জিতেন্দ্র পোস্ট জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে জিতেনের দাবি তিনি এখনও দিদির সমর্থনে।

মমতার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও করতে পারছেন না!
এদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি দেখা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে সূত্রে দাবি। তৃণমূল ভবনে গিয়েও তিনি নেত্রীর দেখা পাননি। এদিকে, দলীয় নেতৃত্বও তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছে বলে খবর। এই জায়গা থেকে আসন্ন সময়ে আসানসোলে মেগা রোড শো রয়েছে শুভেন্দুর। তার জবাবে জিতেনও নামবেন ময়দানে। সেখানেও জিতেন ফোকাস কাড়তে পারেন বলে আশা রাজনীতির একাংশের।