লকডাউনের জন্য কেমন প্রস্তুতি মুর্শিদাবাদে
লকডাউনের জন্য কেমন প্রস্তুতি মুর্শিদাবাদে
লকডাউনের দিন ঘোষণা হতেই তোড়জোড় মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদ জেলায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চারটি কনটেইনমেন্ট জোন এবং নটি বাফার জোন চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। ওই চারটি কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার চারটি কনটেইনমেন্ট জোনের এলাকায় এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। বসানো হয়েছে পুলিশ পাহাড়া।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় গত কয়েকদিন আগে এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। এরপর ওই যুবকের বাড়ি সহ এলাকার মোট ১১ জনকে চিকিৎসার জন্য তুলে নিয়ে যায় স্বাস্থ্য দপ্তর। এর পরেই নামুপাড়া এলাকাটিকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে প্রশাসন।
এদিন বিকেল থেকে আগামী সাতদিন ওই এলাকায় লকডাউন কার্যকরী করতে উদ্যোগী প্রশাসন।
এতে সমস্যায় পড়েছে এলাকার মানুষ। বিশেষ করে শখানেক দুগ্ধ ব্যবসায়ী দাবি করছেন, তাদের দুধ ফেলে দিতে হবে। এছাড়া খাবার-দাবারের চিন্তায় পড়েছেন ওই গ্রামের মানুষ।
সে কারণে দরিদ্র মানুষেরা সরকারি সাহায্যের আবেদন করছেন। এপ্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হাসিবুর রহমান জানান, এলাকার প্রায় তিনশটি পরিবারকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। তাদের বাড়িতে খাবার মজুদ নেই। খাবার মজুদ করার মত আর্থিক অবস্থাও তাদের নেই। সে কারণে বিডিও অফিসে যোগাযোগ করছেন তিনি। যদিও হরিহরপাড়া বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল ওই এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তাছাড়া ওই দুগ্ধ ব্যবসায়ীদের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।।
করোনা ভাইরাস কি সত্যিই বায়ুবাহিত! কী বলছেন হু-র মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন?