'রাজ্যবাসীর সুরক্ষা নিয়ে আর কত ছেলেখেলা করবেন মাননীয়া?' পশ্চিমবঙ্গে তালিবান যোগ নিয়ে খোঁচা দিলীপ
'রাজ্যবাসীর সুরক্ষা নিয়ে আর কত ছেলেখেলা করবেন মাননীয়া?' পশ্চিমবঙ্গে তালিবান যোগ নিয়ে খোঁচা দিলীপ
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর তালিবানের পরবর্তী টার্গেট হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। এমনই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে বহুবার পশ্চিমবঙ্গের বুকে জেএমবি কার্যকলাপের হদিশ মিলেছে। এবার এই প্রসঙ্গে সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরলেন কলকাতা থেকে ২৫.৮ লক্ষ আফগানি মুদ্রা সহ দুই ব্যবসায়ীর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা।
রবিবার দিলীপ ঘোষ পোস্ট করেন, 'পশ্চিমবঙ্গেও এবার তালিবান যোগ! প্রশাসনিক ব্যর্থতা এতটাই যে তালিবানি সন্ত্রাসের আঁচ এসে পড়ছে এই রাজ্যেও। বিবাদীবাগ থেকে ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২৫.৮ লক্ষ অবৈধ আফগানি মুদ্রা সহ ধরা পড়ল দুজন।রাজ্যবাসীর সুরক্ষা নিয়ে আর কত ছেলেখেলা করবেন মাননীয়া?' সশস্ত্র অভ্যুত্থানে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরই বিজেপি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে তারা।
গতকাল রাতে বিপুল পরিমাণ আফগান মুদ্রা সহ দু'জন ধরা পড়ায় এই ইস্যু নিয়েই ফের সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নন মমতা। আর এই কারণেই তালিবানের বাংলা ভার্সন জেএমবির এত বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে৷
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতেই কলকাতার বিবাদী বাগ অঞ্চল থেকে ২৫.৮ লক্ষ আফগানি মুদ্রা সহ গ্রেফতার হয়েছেন দুই ব্যবসায়ী। রীতিমতো অভিযান চালিয়ে দিয়ে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতর। দু'জনকে জেরা করে জানতে পেরেছে, নদিয়ার হাওয়ালা কারবারিদের কাছ থেকে এই অর্থ পেয়েছেন তাঁরা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, হাওয়ালা কারবারিরাই বা কীভাবে এত অর্থ পেলেন? এই প্রশ্নের জবাব যদিও এখনও অধরা। তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর পেছনে বড়সড় কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে।
তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তালিবানের মদতেই ভারতে সক্রিয় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী, যার মধ্যে জেএমবি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদ রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন৷ যদিও এখনও তালিবান নিয়ে ভারত ঠিক কী অবস্থান নিতে চলেছে তা স্পষ্ট নয়। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন এ নিয়ে বলার মতো সময় আসেনি। অন্যদিকে UNSC এর প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে তালিবান শব্দ বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন প্রতিনিধি ছিলেন সৈয়দ আকবরুদ্দিন। টুইটে তিনি বিষয়টির উল্লেখ করে লিখেছেন, 'ত' দিয়ে শুরু একটি শব্দ বাদ গিয়েছে, 'কূটনীতিতে এক পক্ষকাল বিরাট সময়!'