আলপনা দিয়ে পুজো উৎসব শুরু করে দিলেন বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, দেখুন ভিডিও
ইনি একদিকে যেমন এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের শরিক হন, তেমনি আনন্দোৎসবেও সকলের সঙ্গে মেতে ওঠেন সাবলিল ছন্দে। আসলে সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম এমনই।
ইনি একদিকে যেমন এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের শরিক হন, তেমনি আনন্দোৎসবেও সকলের সঙ্গে মেতে ওঠেন সাবলিল ছন্দে। আসলে সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম এমনই। মানুষের সঙ্গে আত্মিক বন্ধনে মিশে যাওয়ার একটা সহজাত গুণ রয়েছে তাঁর মধ্যে। আর সেই চারিত্রিক ছন্দেই এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করে দেন এই বিধায়ক।
মহালয়ার দিনে এমনই এক সুন্দর পরিবেশে সকলকে নিয়ে উৎসবের আনন্দে মাতলেন ফিরদৌসী। নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক সার্বজনিন-এ মহালয়া উপলক্ষে আলপনা অঙ্কন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই পুজোর সভাপতি সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। বিশেষ অতিথিদের জন্য মঞ্চ বানিয়ে তাতে বসার আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে না গিয়ে সরাসরি আলপনা অঙ্কনের স্থানে দাঁড়়িয়ে পড়েন ফিরদৌসী। এরপর সেখানেই তিনি নিজেও আলপনা দিতে শুরু করেন।
এরই মাঝে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অন্যদের উদ্দেশে বার্তাও দেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক। জানান কী ভাবে মর্মস্পর্শী ভাবনাকে অবলম্বন করে এবার তাদের পুজোকে উৎসর্গ করেছে নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক সর্বজনিন। 'মুছে দিয়ে সকল কালো, আমার উমা ঘরে এল'- এই ভাবনা যে নিছক একটা থিম নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সমাজের সেই সব অবহেলিত নারীদের কাহিনি যারা কোন না কোনওভাবে নানা বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন।
এই অনুষ্ঠানে আলপনা অঙ্কনের সঙ্গে সঙ্গে দুস্থ মেয়েদের হাতে স্বাস্থ্য-বিমা তুলে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছিল নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক সর্বজনিন দুর্গোৎসব কমিটি। সেই অনুষ্ঠানেও শরিক হন ফিরদৌসী। নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক সর্বজনিন বরাবরই তাদের দুর্গাপুজোয় বেশকিছু সামাজিক উদ্য়োগ নিয়ে থাকে। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। আর সেইকারণে যে থিমের আধারে এবারের পুজোকে তারা তুলে ধরেছে তারই বশবর্তী হয়ে এই উদ্যোগ বলে জানান সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত দাস। পুজো কমিটির সভাপতি ফিরদৌসীও একই সুরে সুর মিলিয়ে বিশ্বজিত-কেই সমর্থন করেন।
আসলে সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক হলেও ফিরদৌসী বেগম এই এলাকারই মানুষ। বহুদিন থেকেই এই পুজোর সঙ্গে তাঁর যোগ। তাই এই পুজোর অংশ নেওয়া মানে তাঁর কাছে এক অন্য অনুভূতি। আর সেই কারণেই নিজের বিধায়ক তকমা ঝেড়ে ফেলে সকলের সঙ্গে আনন্দোৎসবে মাততে পিছপা হন না তিনি। তারই প্রতিফলন ঘটল মহালয়ার দিনে নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক সর্বজনিন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো মণ্ডপের প্রাঙ্গণে।
{document1}