মহিলা বিদ্বেষের জেরে ৬ প্রেমিকাকে খুন করে স্মৃতি চিহ্ন ঘরে রাখত কালনার সিরিয়াল কিলার!
গত ৩ মাস ধরে কুখ্যাত এক সিরিয়াল কিলার-কেই খুঁজে চলেছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুলিশ। গোটা বর্ধমান রেঞ্জের পুলিশ এই ব্য়কতির খোঁজে রীতিমতো তৎপরতা দেখিয়েছে।
গত ৩ মাস ধরে কুখ্যাত এক সিরিয়াল কিলার-কেই খুঁজে চলেছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুলিশ। গোটা বর্ধমান রেঞ্জের পুলিশ এই ব্য়ক্তির খোঁজে রীতিমতো তৎপরতা দেখিয়েছে। তদন্তে নামবার আগে, পুলিশরে কাছে খবর আলতে থাকে এলাকা জুড়ে একের পর এক খুনের। দেখা যায়, প্রত্যেকটি ঘটনাতেই খুনের নিশানা কোনও না কোনও মহিলা। উঠে আসে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য
কালনায় পর পর ৬ মহিলা খুনের কিনারায় বড় সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। সিরিয়াল কিলার কামারুজ্জামান সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ জানতে পারে, মুর্শিদাবাদ থেকে এসে কালনায় থাকতে শুরু করেছিল সে। পেশা বলতে ছিল ভাঙড়ির ব্যবসা। শোনা যাচ্ছে, নেশা বলতে ধৃত নাকি মোটরবাইক পছন্দ করত। তবে মহিলাদের বেছে বেছে কেন খুন ? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
মহিলাদের ওপর ঘৃণা!
মনে করা হচ্ছে, মহিলাদের ওপর কোনও সুপ্ত ঘৃণার জেরেই একের পর এক খুন করে গিয়েছিল কামরুজ্জামান। প্রতিটি খুনই সে গলায় সোনার চেনের ফাঁস দিয়ে ঘটিয়ে দেয়। আর খুনের পর মহিলাদের কাছ থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র লুঠ করে পালাত কামরুজ্জামান। এরপর মৃত মহিলার স্মৃতি চিহ্ন হিসাবে সে রেখে দিত কিছু গয়না। পুলিশ এদিন ধৃতকে আদালতে তুলে হেফাজতের দাবি করে।
[প্রতীকী ছবি]
ধৃত বিবাহিত!
সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা কামরুজ্জামান, পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়ে এসে বসতি বানায় । তার মুর্শিদাবাদের বাড়িতে স্ত্রী ,২ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে সংসার ছিল। আপাতভাবে শান্ত কামারুজ্জামান কীভাবে এমন একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটাতে পারে,তা নিয়ে রীতিমতো অবাক এলাকাবাসীরা।
কীভাবে গা ঢাকা দিয়েছে সিরিয়াল কিলার?
পুলিশের কাছ থেকে নিজের সরিয়ে রাখতে ধোরদুরস্ত জামা কাপড়ের পাশাপাশি হেলমেট চাপিয়ে ঘুরে বেড়াত অভিযুক্ত কামরুজ্জমান সরকার। আর সেই বিষয়টির আঁচ পেয়েই কালনা পুলিশ চরম তৎপরতায় নাকা চেকিং শুরু করে। রবিবার রাতে নাকা চেকিং এর সময়ই ধরা পড়ে যায় কামরুজ্জামান সরকার।