বাংলায় বাকি দফা নির্বাচনের আগে 'পরিযায়ী' ভোটব্যাঙ্ক বিজেপি-তৃণমূল সংঘাতের মাঝে কত বড় চ্যালেঞ্জ
তৃতীয়, চতুর্থ দফা নির্বাচনে আগে 'পরিযায়ী' ভোটব্যাঙ্ক বিজেপি-তৃণমূল সংঘাতের মাঝে কত বড় চ্যালেঞ্জ
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দুই দফা সম্পন্ন। এবার ফোকাসে পরবর্তী দফা। যেখানে উত্তরবঙ্গের জনমত কথা বলবে। সেদিকে তাকিয়েই কোনও রাজনৈতিক দলই নিজেদের হিন্দিভাষী ভোটব্যাঙ্ক হাতছাড়া করতে চায়না। একনজরে দেখা যাক, 'বহিরাগত' ইস্যুতে পারদ চড়তেই বাংলায় ভিনরাজ্যের পরিযায়ী ভোটব্যাঙ্ক কতটা তাৎপর্য রাখছে।
বাংলার কয়লা বলয় ও পরিযায়ী
প্রসঙ্গত, বাংলার কয়লা বলয় অর্খাৎ আসানসোল, রানিগঞ্জের মতো ঝাড়খণ্ড বিহারের সীমান্তের এলাকা জুড়ে বহু হিন্দিভাষী মানুষের বাস। জানা যায়, প্রা ৫০ থেক ১০০ বছর আগে এঁরা কাজের সন্ধানে এই এলাকায় এসে বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন। আর এই হিন্দিভাষী অবাঙালি ভোটব্যাঙ্কই রীতিমতো তোলপাড় শুরু করেছে ভোটের মুখে। উত্তর দিনাজপুর থেকে বীরভূমের একটা বড় অংশের বাসিন্দা হিন্দিভাষী। আর তাঁরাই আপাতত ফোকাসে।
কোন রাজ্যের পরিযায়ী বেশি বাংলায়?
২০১১ সালের আদমসুমারী বলছে, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ও উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় ২৪.৪ লাখ পরিযায়ী বাসিন্দা রয়েছে। এঁদের মধ্যে ১১.৪ লাখ জনই বিহারের। এরপরই ঝাড়খণ্ড উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশার বাসিন্দারা রয়েছেন। গত ১০ বছরে এই বাসিন্দাদের সংখ্যা যে বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য।
হিন্দিভাষী ভোটব্যাঙ্ক ও বাংলার দ্বিতীয় দফার ভোট
প্রসঙ্গত, বহু বিশেষজ্ঞের দাবি, বাংলায় হিন্দিভাষী ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ যেতে পারে বিজেপির দিকে। তবে মমতা বাংলার বাঁ তাঁদের জন্য উন্নয়ন করেছে, এমন ভাবনাতেও অনেকে বিশ্বাসী। সেই জায়গা থেকে বাংলার কয়লা বলয়ের হিন্দিভাষী কিছু ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেটেও রেখেছে তৃণমূল। সেখানে ঝাড়ৃখণ্ড মুক্তি মোর্চার সমর্থনও মমতা শিবির পেয়েছে।
হিন্দিভাষী ভোটব্যাঙ্ক নজরে মমতার
এদিকে ছট সহ বিভিন্ন হিন্দি বলয়ের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ছুটি ঘোষণার ঘটনা এই ক্ষেত্রে তাৎপর্যবাহী। প্রসঙ্গত কলকাতার বুকেই ৪৪.৯ লাখ হিন্দিভাষী মানুষ বসবাস করেন। সেই জায়গা থেকে ২০১৯ সালের মোদী সুনামীর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো ফোকাসে রেখেছেন এই পরিযায়ী ভোটব্যাঙ্ককে।
তৃতীয়, চতুর্থ দফা ভোটের আগে সমীকরণ ঘিরে জল্পনা
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া সহ কলকাতায় বিস্তীর্ণ এলাকায় বসবাস বহু হিন্দিভাষী মানুষের। বহু বিশেষজ্ঞের মতে এই এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে আসা বহু মানুষ এবারের ভোটে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটে ঝুঁকতে পারেন কর্মসংস্থার অভাবের অভিযোগ তুলে। যে ট্রেন্ড এই পরিযায়ী ভোটব্যাঙ্ক বাম শাসন উৎখাতের ক্ষেত্রেও দেখিয়েছিল। তবে সমস্তটারই শেষ হিসাব দেবে ২ রা মে।
প্রথম দুই দফাতেই হাফ সেঞ্চুরি বিজেপির, উত্তরবঙ্গে ব্যাট উঁচিয়ে মমতার 'খেলা' শেষের ডাক শাহের