প্রকাশ্যে দিনের আলোতে কীভাবে বন্দুক দেখানো হল? প্রশ্ন তৃণমূলের! গণতন্ত্র নিয়ে পাল্টা দিলেন সুকান্ত
ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকাতে। কার্যত গুরুতর জখম অবস্থাতে এসএসকেএম হাপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকাতে। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত জদুবাবুর বাজার। তৃণমূলের হামলাতে মাথা ফাটল চার বিজেপি নেতার।
কার্যত গুরুতর জখম অবস্থাতে এসএসকেএম হাপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঘটনাতে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ঘটনাস্থলে। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকাতে। তবে এই ঘটনাকে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি তৃণমূলের।
প্রকাশ্যে বন্দুক!
তবে এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের তরফে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের। সেই অংশের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে শাসকদলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগা হয়েছে। শুধু তাই নই, প্রকাশ্যে দিনের আলোতে কীভাবে বন্দুক দেখানো হল? প্রশ্ন শাসকদলের।
টুইটে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, এত সাহস যে দিনের আলোতে বন্দুক দেখানো হচ্ছে। যে নেতাকে পছন্দ করে না সাধারণ মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে কি প্রতিবাদও এখন জানানো যাবে না? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে শাসকদলের তরফে।
তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিজেপি নেতাদের উল্টোপাল্টা কথাবার্তায় ক্ষুব্ধ মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলে কেউ জড়িত নয় বলেও দাবি তাঁর। ফিরহাদের মতে, এত সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি, ব্যক্তিগত আক্রমণ, মিতগ্যা কথায় ক্ষুব্ধ মানুষ। আর এই ঘটনার তারই বহিঃপ্রকাশ।
শেষলগ্নে জদুবাবুর বাজারে পৌঁছন দিলীপ
উল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারের শেষলগ্নে জদুবাবুর বাজারে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের দাবি, দিলীপ ঘোষকে প্রচার করতে দেওয়া যাবে না। আর এই দাবি নিয়েই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। আর এই দাবি নিয়েই বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আর তা পরে রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পরিস্থিতি। বিজেপির একাধিক কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। এমনকি দিলীপ ঘোষের উপরেও হামলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ! আর সেই সময়ে সাংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা বন্দুক উঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সেই সময়ের একটি ভিডিওকে সামনে এনে বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের।
Recommended Video
তীব্র নিন্দা বিজেপির তরফে
তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, এই ঘটনার প্রমাণ হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। অন্যদিকে, ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেছেন, ভোটের দিন এমন হলে বুঝে নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনি বলেছেন, ভোটে বেগতিক বুঝতে পেরেই গুণ্ডাবাহিনী নামিয়েছে তৃণমূল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর দাবি, এবার প্রথম যিনি উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে বলছেন, আমাকে তোমরা একটা একটা করে ভোট দাও, না হলে পাবে না। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, এত মধু কোথায় আছে? তিনি প্রশ্ন করেন, মধু কিসে আছে?