তৃণমূলের ফাঁক ফোকড়কে কাজে লাগিয়ে বাংলার অন্দরে কীভাবে গেরুয়া প্রবেশ ঘটল! বঙ্গভোটে সংঘের প্রভাব একনজরে
তৃণমূলের ফাঁক ফোকড়কে কাজে লাগিয়ে বাংলার অন্দরে কীভাবে গেরুয়া প্রবেশ ঘটল! বঙ্গভোটে সংঘের প্রভাব একনজরে
বিজেপি বনাম তৃণমূল দ্বন্দ্বই মূলত পশ্চিমবাংলার ভোটে প্রকটভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে। এই দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মধ্যে ক্রমাগত দলবদল, হিংসার ঘটনা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু মমতার চক্ষুশূলে থাকা বিজেপি বাংলার জমিতে খুব একটা সহজে রাতারাতি পা রাখতে পারেনি। বহুদিন আগে থেকে ধীরে ধীরে গেরুয়া বাহিনী বাংলার অন্দরে নিজের পিচ পোক্ত করেছে।
বাংলার বুকে বাড়ছে সংঘ শাখা থেকে বিদ্যা ভারতী
দেখা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে বাংলার বুকে সংঘের অনুমোদিত একাধিক স্কুলের বিস্তার শুরু হয়েছে। সংঘের স্কুল বিদ্যা ভারতী, সারদা বিদ্যা মন্দির স্কুলগুলির সংখ্যা বাংলার বুকে ক্রমাগত বেড়েছে। এছাড়াও সংঘের শাখার সংখ্যাও দিনকে দিন প্রতিটি ব্লকে বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের হেমতাবাদ, করণদিঘি, রায়গঞ্জে এমন শাখার বাড়বাড়ন্তই বাংলার বিজেপির আগমনের রাস্তা তৈরি করে দেয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
মমতা শিবিরের ফাঁক ফোকড় ও বিজেপি
এদিকে, সংঘ যখন বাংলায় হিন্দুদ্বের মেরুকরণের ভোটের রাস্তা চওড়া করেছে, বিজেপি তখন বঙ্গে একের পর এক মমতার 'ভুল' কে মূলধন করে এগিয়েছে। আর তার প্রথমেই ঠিল চাকরি। কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনে ৩ লাখ পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ থেকে শুরু করে বাংলায় ধুঁকে পড়া শিল্পকে সামনে রেখে বিজেপি বঙ্গ অভিযানে নেমেছে।
বিজেপি , অর্থ, ও বাংলার আবেগ
একদিকে বাংলার আবেগকে ধরার চেষ্টায় যখন বিজেপি নেতারা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন বিজেপির তাবড় মূলধনী সাংগঠনিক দিক বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা বাড়াচ্ছে। আর বিজেপির এই ঝলমলে মূলধনী ভাবমূর্তি বাংলার বুকে প্রভাব ফেলছে বলে মত একাংশের। অনেকেই পার্টিকে দেখে কর্মসংস্থান , শিল্পের আশায় বুক বাঁধছে। ফলে মমতা সরকারের শিল্প নিয়ে যে মূল ব্যর্থতা , তা টার্গেট করে বিজেপি নিজের পালে হাওয়া দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়াও বিহার সীমান্তে আদাবাসী বলয়ে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে ক্ষোভ থেকে টাকার বিনময়ে চাকরি সংক্রান্ত নান অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সপর চড়িয়ে বিজেপি জমি পোক্ত করছে।
তৃণমূলের ভুলচুক ও ভোটব্যাঙ্ক
এদিকে, সাংগঠনিক দিক থেকে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছে। যুব ভোট টার্গেট করে, ও দলীয় কোন্দল ঘোচাতে মমতা শিবির যুব সমাজ থেকে বহু অভিনেতা অভিনেত্রীদের দলে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, তার ফলে দলের বর্ষীয়ানরা কোথাও মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন। আবার দলে প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক দাপট মেনে নিতে না পেরে অনেকেই দল ছেড়েছেন। এমন অবস্থায় তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েটকে দলে নিয়ে বিজেপি বাজিমাত করে দিয়েছে।
৯ জানুয়ারি কাটোয়ায় সভা নিয়ে তৎপরতা! জেপি নাড্ডা মধ্যাহ্নভোজ সারবেন কৃষক পরিবারে